নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, হাড়োয়া : করোনা ঠেকাতে তালি, থালি বাজানোর দরকার নেই। দরকার নেই প্রদীপ জ্বালানোরও। করোনার একমাত্র প্রতিষেধক হল লকডাউন মেনে চলা, আর চিকিৎসকদের নিদের্শানুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নিদের্শ মোতাবেক লকডাউন মেনে চলতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা দেখা দিচ্ছে খাদ্য জোগানে।রোজকার বন্ধ। তাই তাঁদের কাছে অর্থ নেই। পেট তো তা মানবে না। বাঁচতে চাই খাদ্য। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের খাবার জোগাড়ে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন প্রচুর ধর্মীয় সংগঠন যেমন তেমনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। হাড়োয়া করোনা রিলিফ ফান্ডও তার সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৯ মার্চ থেকে থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে হাড়োয়া করোনা রিলিফ ফান্ড। ৩৯৫ টাকার প্রতিটি প্যাকেটে পাঁচ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, পাঁচশো তেল, ২ প্যাকেট সয়াবিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সামান্য এই খাবারে কতদিন চলবে? এই চিন্তায় রয়েছেন সংস্থাটির প্রধান মুস্তাফা শাহাদুল কুদ্দুস। সামনে রমজান মাস তারপর লকডাউন পরবর্তী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কতটা সম্ভব তা জানা নেই তবে এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ অনেক সহজ করে দেবে বলে আশাবাদী সংস্থাটির পৃষ্ঠপোষক পথের সম্বল পুস্তাকালয়ের কর্ণধার রেজাউল কুদ্দুস।
রাতের অন্ধকারে পরিস্থিতির শিকার সাধারণ মানুষের আত্মামর্যাদাকে সম্মান জানিয়ে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর পাশাপাশি কুতুবুদ্দিন মোল্লা, রফিকুলেরা সরকারী সুযোগ-সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ পান সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। তাঁরা না সেই চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের ছবি প্রকাশ করছেন না নিজেদের প্রচার করছেন। আত্মপ্রচার বিমুখ সংস্থাটির কর্মীবৃন্দ প্রত্যেকের কাছে আবেদন করছেন, ‛একটু সাহায্য করুন তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে।’