দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আগের বছর লকডাউনের সময় থেকে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। মানুষের উপকার করার জন্য ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তাঁর কাজের জন্য গরীবের মসিহা সহ একাধিক উপাধিও পেয়েছেন অভিনেতা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন দেশে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। তখন বিজেপি শাসিত আসামেও একই অবস্থা। এমন সময়ে বরাকের সোনু সুদ যেন হাসানুল বান্না খান। নাম হাসানুল বান্না খান হলেও বান্না নামে সবার কাছে পরিচিত এই গরীবের বন্ধু। এখনো পড়ার পাঠ শেষ করতে পারেনি ছেলেটি, তবে তাঁর মধ্যে যে অধম্য সাহস তা হয়তো কোটিপতিদেরকেও হার মানাবে।
দেশজুড়ে চলছে অক্সিজেন সংকট, তার থেকে পিছিয়ে নেই আমাদের বরাক উপত্যকাও। এমনকি অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন সময়ে অনেককে মৃত্যুর মুখ ও দেখতে হয়েছে অনেক সময়। বান্না ও কিন্তু তাঁর স্বীকার। তাঁর বাবার একসময় অক্সিজেনের অভাব দেখা দিলে তাঁকে পাগলের মতো ছুটতে হয়েছে এদিক থেকে ওদিক। তবে অনেক কষ্ট করে তখনকার মতো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে নেওয়ার কারণে তাঁর বাবা বেঁচে যান। সেই দিন থেকে বান্না শপথ নেয় অক্সিজেনের কারণে যাতে কোনো মানুষকে মৃত্যুর মুখ দেখতে না হয়। যেমন শপথ তেমন কাজ। পরদিন থেকে বান্না বেশকটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করে শুরু করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ। এখন পর্য্যন্ত বান্না ৩৫ জনেরও অধিক রোগীকে তাঁর সেই অক্সিজেন সেবা দিয়ে উপকৃত করেছে।
রাত ১২ টা হোক অথবা তিনটে বান্নার কাছে ফোন আসলেই সেবা দিতে বেরিয়ে পড়েন। সে হোক শিলচর অথবা করিমগঞ্জ। বান্নার এধরণের কাজ দেখে তাঁকে বরাকের সোনু সুদ বললেও কম হবে। কারণ সোনু সুদ কোটিপতি হলেও বান্না সেক্ষেত্রে লাখপতিও নয়।
তাঁর অদম্য সাহসকে স্যালুট জানিয়েছেন এলাকার মানুষ থেকে নেটনাগরিকরা। তাঁর সেই মহৎ কাজে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই। বান্নার এধরনের কাজ দেখে আরও যুবক এভাবে বেরিয়ে আসুক, বান্না ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠুক এক অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন অনেকে।