দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ১১ ডিসেম্বরে শুরু হওয়া শাহিনবাগের আন্দোলন গতকাল ৫০ দিন পার করেছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে সেই আন্দোলনের শরিক বাটলা হাউস এলাকার নাজিয়া। দুধের শিশু মহম্মদ জাহান গত দেড় মাস ধরে রোজ রাতে তার মায়ের সঙ্গে শাহিন বাগ যেত। কিন্তু এই কনকনে শীতে সারা রাত বাড়ির বাইরে থেকেই সম্ভবত ঠান্ডা লেগে যায় চার মাসের শিশুটির। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছে মহম্মদ।
দুধের শিশুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন নাজিয়া। তবু অবিচল। আবার শাহিন বাগে যাবেনই। ‘দেশ বাঁচাতে, ভবিষ্যতের জন্য, আমার অন্য ছেলেমেয়েগুলোর কথা ভেবেই আমাকে ফের প্রতিবাদে শামিল হতে হবে,’ বলেন তরুণী। নাজিয়া ও তাঁর স্বামী মহম্মদ আরিফ কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলী থেকে দিল্লি এসেছেন। এখন থাকেন বাটলা হাউস এলাকার একটি বস্তির ছোট্ট ঘরে। সন্তানের মৃত্যুর জন্য সিএএ-এনআরসিকেই দায়ী করছেন আরিফ।
আরিফের কথায়, ‘সরকার যদি এ রকম আইন না আনত, মহিলারা প্রতিবাদে নামত না, আর আমার স্ত্রী সেই বিক্ষোভে যোগ দিতেও যেত না। আমার ছেলে তা হলে আজ বেঁচে থাকত।’ নাজিয়া বলেন, ‘ধর্মের নামে আমাদের মধ্যে বিভেদ করা হবে কেন? আমি চাই, আমার সন্তানদের, এ দেশের সব শিশুর, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকুক। সে জন্যই আমি সমাবেশে যাচ্ছিলাম। সে জন্যই ফের যাব।’ তবে নাজিয়া জানিয়েছেন, এ বার আর কোনও সন্তান নিয়ে নয়, একাই যাবেন শাহিনবাগে।
সব খবর এইবার আপনার হোয়াটসঅ্যাপে! আমাদের গ্রুপে যুক্ত হোন বিনামূল্যে
আমাদের সব খবর পড়ুন এইবার মোবাইল অ্যাপে। ডাউনলোড করুন বাংলার সেরা নিউজ অ্যাপ