দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ২১ জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ২৭ বছর পূর্ন হল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানে নেমেছিলেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা৷ আর তখন তাদের উপরে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকে প্রতিবছর সেই হত্যাকাণ্ডের দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক বছর পর মমতা কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করলে তাঁর দলই এই শহিদ দিবস মূলত পালন করে থাকে৷
যদিও আজও অস্পষ্ট সেদিনের গুলি চালনায় প্রকৃত দোষী কারা৷ রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ক্ষমতায় আসার পর তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের ঘটনার তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছিলেন৷ বছর তিনেক ধরে তদন্ত চালিয়ে ৫৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে সেদিনের হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়লেও উত্তর মেলেনি কার নির্দেশে গুলি চলেছিল৷ ফলে প্রকৃত দোষীদের সাজা দেওয়ার তেমন কোনও প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত মেলেনি৷
সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রসচিব মণীশ গুপ্তের ভূমিকা নিয়ে আলাদা করে প্রশ্ন উঠে আসছে৷ কারণ এই আমলাটি বাম জমানায় জ্যোতি বসু-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহধন্য হওয়ায় পরে রাজ্যের মুখ্যসচিবও হয়েছিলেন৷ ২১ জুলাইয়ের ঘটনার পর মনীশ গুপ্তর ফাঁসির দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই মণীশবাবুই এখন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য হয়ে উঠেছেন৷ আগের পর্যায়ে মন্ত্রী থাকার পর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রাক্তন এই আমলাটি তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ালেও হেরেছেন৷ তবুও এই মণীশ গুপ্তকেই মুখ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত বিদ্যুৎ দপ্তরের উপদেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর এই পদটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমমর্যাদার। পরবর্তীকালে তাকে অবশ্য রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছে।