নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা: কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও সঠিক তদন্তের দাবি জানাল জামাআতে ইসলামী হিন্দ। শনিবার মাথাভাঙ্গার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন সাধারন নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই গুলি চালনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা প্ররোচনায় সাধারন মানুষদের যে ভাবে গুলি চালিয়েছে তার নিন্দার ভাষা নেই।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা কিন্তু এক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। তারা ভোটারদের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জামাআতের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক বলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কারন নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের গুলি চালানোর জন্য যে নির্দেশনা প্রদান করেছিলো তারই এটি বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করছি। মাওলানা আব্দুর রফিক আরো উল্লেখ করেন, নিজ বুথের বাইরে পোলিং এজেন্ট দেওয়ার কমিশনের নতুন বিধান বিভিন্ন এলাকায় বহিরাগতদের আসার যথাযথ সুযোগ করে দিয়েছে। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর উপর পূর্বের মতই বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। সেই সঙ্গে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যে কোন বুথে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
মাওলানা আব্দুর রফিক জানান, রাজনৈতিক নেতা – নেত্রীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সামনে রেখে কাজ করা উচিত। রাজনৈতিক নেতাদের লাগামহীন মন্তব্য ও কু -কথা সামাজিক পরিমন্ডলকে বিষাক্ত করছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আব্দুর রফিক রাজ্যবাসীর কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তি পূর্ণভাবে সকলে নাগরিক অধিকার ভোট প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছে।
মাওলানা আব্দুর রফিক মাথাভাঙ্গা বিধানসভার শীতলকুচি গুলিচালনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তিনি মৃতের পরিবারের সদস্যের প্রতি তিনি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। গুলিতে নিহতদের পরিবারে একজনকে সরকারি চাকুরি প্রদান ও ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানিয়েছেন মাওলানা আব্দুর রফিক।