দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের নেত্রী আং সান সুকির বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতির মামলা রুজু করল দেশটির সামরিক প্রশাসন। যার জেরে হতে পারে ১৫ বছরের জেল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সু কি ও তাঁর দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন একটি মামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মায়ানমরের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট’।
দুর্নীতি দমন কমিশন উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী নাইপিদাওয়ের একটি থানায় সু কি’র বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ড্যামোক্রেসি’র আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। অভিযোগ, ‘Daw Khin Kyi Foundation’ নামের একটি দাতব্য সংস্থার জমি নয়ছয় করেছেন সু কি ও তাঁর সঙ্গীরা। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৫ বছরের জেলের সাজা হতে পারে। বলে রাখা ভাল, ২০১২ সালে নিজের মায়ের নামে এই সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন দেশটিতে গণতন্ত্রে প্রধান মুখ আং সান সু কি।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনা। ফেলে দেওয়া হয় নির্বাচিত সরকার। তার পর থেকেই সেনার নির্দেশে গৃহবন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি । তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। ক্যু-এর প্রায় চার মাস পর গত মে মাসে প্রথমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি।
গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করে সু কি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ড্যামোক্রেসি’। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। তারপর অভ্যুত্থান পালটে দেয় গোটা চিত্র।