দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে বাবা রামদেবকে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। আর এতেই ক্ষেপেছে ভারতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে একটি চিঠি লিখেছে ভারতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাতে সংগঠনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানে হয়েছে, অ্যালোপ্যাথি ওষুধ এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে করা রামদেবের অভিযোগ মেনে নিয়ে দেশ থেকে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হোক। নয়ত মহামারী আইন প্রয়োগ করে রামদেবের বিরুদ্ধে মামলা করা হোক।
পাশাপাশি এদিন সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে আরও জানানো হয়, যদি সরকারি স্তরে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়ে রামদেবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে চিকিৎসকদের এই সংঘঠন। উল্লেখ্য, একটি বিজ্ঞাপনে রামদেবকে বলতে শোনা যায়, ‘অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের সংগঠন দাবি করে, রামদেব এই মন্তব্যের মাধ্যমে ডিজিসিআই-এর গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
আইএমএ-র দাবি, মহামারী আইনের ৩ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি প্রয়োগ করে মামলা করা হোক রামদেবের বিরুদ্ধে। আইএমএ-র অভিযোগ, ফ্যাভিপিরাভির ওষুধ নিয়ে রামদেবের করা মন্তব্য হাস্যকর, শিশুসুলভ এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞানতা প্রকাশ করে। এবং রামদেবের দাবিগুলো সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (যিনি নিজে একজন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক) উপর প্রশ্ন চিহ্ন লাগিয়ে দেয়।
শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, রামদেব নিজের সংস্থার বিভিন্ন পণ্যের বিষয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করেন। কোরোনিল এবং স্বসারি ওষুধের প্রসঙ্গ টেনে আইএমএ বলে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রামদেব সবাইকে বোকা বানিয়ে যেকোনও উপায়ে টাকা উপার্জনের পথ খুঁজছেন।