দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে এবার সাংসদ শিশির অধিকারী, সুনীল মণ্ডলকে চিঠি দিল লোকসভার সচিবালয়। চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।
শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে সাংসদ হয়ে অন্য দল করছেন সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী। অবিলম্বে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এ নিয়ে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, ওঁদের লোকসভার সাংসদ হিসেবে থাকার বৈধতা নেই। কারণ, তাঁরা দলত্যাগ করেছেন। জনগণকে ওঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন না। কাঁথিতে সুস্থ-সক্ষম সাংসদ দরকার’। কুণাল আরও বলেছিলেন, রাজ্যসভায় ইস্তফার পর বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর তড়িঘড়ি স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভায় যদি ফেরানো যায়, তাহলে শিশির-সুনীলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কেন পদক্ষেপ করছে না? আমাদের পিটিশনে কেন সাড়া দিচ্ছেন না স্পিকার?’
উল্লেখ্য, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গত ২১ মার্চ এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক শিশির অধিকারী। অবশ্য, তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর শিশিরবাবুকে নিয়ে জল্পনা চলছিলই। বিজেপিতে যোগদানের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারংবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ৭৯ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক নেতা। বিজেপিতে যোগ দিয়ে শিশির বলেছেন, ‘অত্যাচারীদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছে। আমাদের পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছে।’ জয় শ্রী রাম, জয় ভারত স্লোগানও দেন তিনি। একুশের নির্বাচনের মুখে সুনীল মণ্ডলও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।