দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা দেশের নেত্রী হিসেবে আখ্যা দিলেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা কমল নাথ। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গতকালই তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল। এর পরেই কংগ্রেসের উঁচুতলার নেতার তরফে এল ভূয়সী প্রশংসা।
গতকাল, বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতাকে ‘আমাদের দেশের নেতা’ বলে উল্লেখ করেন কমলনাথ। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ২০২৪ সালে যে লোকসভা নির্বাচন হবে সেখানে বিরোধী পক্ষেরা মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামাবেন কিনা। এর জবাবে তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ যথাসময়ে তাদের প্রধান প্রার্থী ঠিক করবে।”
মধ্য বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ইউপিএ-তে যদিও মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস নেই। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়ার একটি সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে এইবার মমতার বিষয়ে কমল নাথ বলেন, “মমতা এখন আমাদের দেশের নেতা। তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। নজিরবিহীন বিধানসভা নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ পর্যায়ে গেছেন তিনি।”
কমল নাথ আরও বলেন, “মমতাকে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁর নিজের মন্ত্রী, সিবিআই, আয়কর বিভাগের মতো ব্যক্তি ও সংস্থাকে সামলাতে হয়েছে। কিন্তু কেউই তার সামনে দাঁড়াতে পারেনি।” পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে ভোট হওয়া ২৯২টিতে তৃণমূল ২১৩টি আসন পেয়েছে। বিরোধী বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি আসন। এর পরেই গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন মমতা। মমতার এই জয় শুধুমাত্র বঙ্গ রাজনীতি নয়, জাতীয়স্তরেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই লড়াইতাঁকে জাতীয়স্তরের নেত্রীতে পরিণত করেছে। কংগ্রেস নেতা কমলনাথের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত।
শোনা গেছে, বিরোধী হিসেবে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন মমতাও। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। বাংলার লড়াইয়ে প্রায় সমস্ত বিজেপি-বিরোধী দলই মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিল। জয়ের পরেও তাঁরা যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে। ২০২৪-এ কী হয়, সেটাই এখন দেখার।