দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : মোদী জমানায় দীর্ণ হয়ে পড়েছে ঘরোয়া অর্থনীতি। খোদ মোদী সরকারের সমীক্ষাতেই উঠে এলো সেই চিত্র। সমীক্ষা বলছে, গ্রামের মানুষের মাথাপিছু মাসিক খরচ ২০১১-১২ আর্থিক বছরের তুলনায় ৮ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। হিসাব মতো ২০১১-১২ সালে গ্রামে মাথা পিছু মাসে খরচের পরিমাণ ছিল ১২১৭ টাকা। তা কমে ২০১৭-১৮ সালে হয়েছে ১১১০ টাকা। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন এই সমীক্ষা করেছে। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
শহরের মানুষের খরচ অবশ্য বেড়েছে। কিন্তু সেই বৃদ্ধির হারও মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় একেবারেই নগন্য। মাত্র ২ শতাংশ। ২০১১-১২ সালে গড়ে শহরের মানুষ মাথাপিছু মাসে খরচ করত ২২১২ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ২২৫৬ টাকা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রামে ও শহরে চাল, গম ইত্যাদি বাবদ খরচ কমিয়েছে মানুষ। গ্রামে তা কমেছে ২০ শতাংশ হারে, শহরে ৮ শতাংশ হারে। নুন, চিনি, মশলা বাবদ খরচও গ্রামে ও শহরে অন্তত ১৫ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ডাল, ভোজ্য তেল, ফলমূল সবই কেনা কমিয়েছেন গ্রাম-শহরের মানুষ।
গত চার দশকে এই প্রথম গ্রামে চাহিদা এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকটা। এক দিকে জিনিসপত্রের দাম গত ৬ বছরে বেড়েছে। অথচ কিনা গ্রামের মানুষ খরচ করাই কমিয়ে দিয়েছে। সাত বছর আগেও প্রতি মাসে যে পরিমাণ খরচ তাঁরা করতেন বা করতে পারতেন, এখন তাও করছেন না। অনেকের মতে, এর থেকেই বোধগম্য দেশে কতটা আচ্ছে দিন এসেছে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মোদ্দা মানে দাঁড়াচ্ছে একটাই। দেশে দারিদ্র বেড়েছে। তা কোনও ভাবেই কমেনি। মানুষ খরচ কমিয়ে দেওয়ার অর্থই হল, জিনিসপত্রের চাহিদা কমছে। আর চাহিদা কমলে উৎপাদনও কমবে। তাতে ধাক্কা খাবে দেশের অর্থনীতি।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন