নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, থানারপাড়া : পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের কোপে নৃশংভাবে খুন হতে হল এক যুবককে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার থানারপাড়ার দহপাড়ার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বছর ছত্রিশের ওই যুবকের নাম আব্দুল কুদ্দুস ধাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শশুর বাড়ী থেকে বাড়ি ফেরেন কুদ্দুস। তারপরেই প্রতিবেশী আজিজুল বিশ্বাসের বাড়ি যান পাওনা সাড়ে চার হাজার টাকা চাইতে। সেখানেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আজিজুলের ছোট ভাই উসমান বিশ্বাস ধারালো হেসো নিয়ে তেড়ে এসে কুদ্দুসের বুকে কোপ বসায় বলে অভিযোগ। গুরুতর অবস্থায় তাকে নতিডাঙা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে থানারপাড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কুদ্দুস ছোট বেলা থেকেই সেলুনের দোকান চালিয়ে সংসার চালিয়ে এসেছেন। গ্রামেরই দোকান ভাড়া নিয়ে সেলুনের কাজ করতেন। সেই সূত্রে এলাকার সকলের কাছেই ঠান্ডা স্বভাবের বিনয়ী ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন কুদ্দুস। কিন্তু তার জীবনের এমন পরিণতি মেনে নিয়ে পারছেন না কেউই।
মজিবর মন্ডল নামে এক গ্রামবাসী দৈনিক সমাচারকে জানান, ‘শশুর বাড়ী থেকে ফিরে তখনও পরনের নতুন প্যান্টটাও ছাড়া হয়নি ওর, এরই মাঝে আক্রমণ! অত্যন্ত নিরীহ ছেলেটিকে এভাবে খুন হতে হল ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। আট, ছয় ও দেড় বছরের তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা আছে ওর। সংসারে আছেন বৃদ্ধ মা-বাবাও। পরিবারটির একমাত্র রোজগেরে ছিল কুদ্দুস। এই অবস্থায় কি হবে পরিবারটির ভেবে পাচ্ছি না।’ শান্ত নিরীহ স্বভাবের ছেলেটিকে এভাবে হারানোয় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে