দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এ এক অন্য ভারত। করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তির শেষকৃত্য করলেন মুসলিম ও খ্রিস্টান যুবক। মৃতের চিতাভস্ম কাবেরী নদীতে বিসর্জন করেন তাঁরা। দুই যুবকের মধ্যে একজন মুসলিম, অন্যজন খ্রিস্টান। নাম সাদ খায়ুম ও রাহুল জর্জ। কর্নাটকের শ্রীরাঙ্গাপত্তনের ঘটনা। ৩০ এপ্রিল তাঁরা ওই বৃদ্ধের শেষকৃত্য করেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ওই হিন্দু ব্যক্তির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। যদিও তাঁরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই, হিন্দু রীতি অনুসারে চিতাভস্ম নদীতে বিসর্জনের দায়িত্ব খায়ুম ও জর্জের উপর পড়েছিল। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বাধার মুখে না পড়লেও ভয়ে ছিলেন। কারণ একটাই। কর্নাটকের শাসকদল এখন বিজেপি। তাই অন্য ধর্মের মানুষের শেষকৃত্য করা এই রাজ্যে খানিকটা ঝুঁকির কাজ।
ঝুঁকির কথা মানছেন রাহুল জর্জও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের খালি মনে হয়েছিল যদি আমাদের কোনও ভুল হয়। তবে আমরা কোনও বিতর্ক চাইনি। আমরা ভয় পেয়েছিলাম।” খায়ুম বলেন, “আমরা প্রায়শই নিজেদের রসিকতা করি যে ওরা শীঘ্রই এই কাজকে ‘শেষকৃত্য জিহাদ’বলে অভিহিত করতে পারে। তবে আমরা এটাও জানি যে এই কাজটি করা দরকার ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, যদি কাল কিছু অভিযোগ ওঠে, তবুও আমি মনে করি না যে আমরা অনুশোচনা করব।’’
সাদ ও রাহুলের ভয় সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন নয়। হিগত কয়েক বছরে কর্নাটকে সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়েই চলেছে। ‘লাভ জিহাদ’ থেকে গো-হত্যা বিরোধী আইন। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। তাই ভিন্ন ধর্মের মানুষের দ্বারা শেষকৃত্যের কাজ অনেক প্রশ্ন তুলতে পারে।