Saturday, July 27, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

বেঙ্গালুরুর হিংসায় হিন্দুদের নিশানা করার প্রমাণ মেলেনি, ক্লিনচিট পেল পপুলার ফ্রন্ট

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বেঙ্গালুরুরতে যে সাম্প্রদায়িক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল তাতে হিন্দুদের নিশানা করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এর নাম জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছিল তাও খারিজ করে দিয়েছে এই ঘটনার সত্যানুসন্ধানে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।

উল্লেখ্য, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত আগস্ট মাসে জ্বলে ওঠে বেঙ্গালুরু। হিংসার আগুনে একরাতে ছারখার হয়ে গিয়ে ছিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুর একাধিক একাধিক এলাকা। যথারীতি তদন্তের অগ্ৰগতির সঙ্গে বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার নেপথ্যে নাম জড়ায় ‛পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের ‛ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ জানতে পারে এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কোনও সম্পর্ক নেই।

সূত্রের খবর, কর্নাটক সরকারের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু হিংসায় হিন্দুদের নিশানা করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা যে সাম্প্রদায়িক তেমনটা মনে করার কোনও উপযুক্ত কারণ নেই। পুর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হিংসা ছড়ানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ ‌উঠেছে তার সমর্থনেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা চালিয়ে ক্ষতির খতিয়ান নেওয়া উচিত। তবে বেঙ্গালুরুতে হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছিল বলে যারা অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। কারণ হিন্দু মন্দির রক্ষায় মুসলমানরা মানববন্ধন করেছিল।

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে কংগ্ৰেস বিধায়ক শ্রীনিবাসন মুর্তির ভাইপোর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্টকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয় বেঙ্গালুরু। বিধায়কের বাড়ি ও থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় দু’জনের। গ্ৰেফতার করা হয় শতাধিক অভিযুক্তকে। শহর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এদিকে, বেঙ্গালুরু হিংসায় অনেকেই পিঅফআই এর রাজনৈতিক শাখা ‛সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’র সদস্য। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে ফের সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল কর্ণাটক সরকার। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তাঁরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেঙ্গালুরু হিংসার এক তদন্তকরী অফিসার জানিয়েছেন, ধৃতরা সকলেই দলের নেতা। তারা চাইলে এই হিংসাত্মক ঘটনা আটকাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে, বিভিন্ন গ্ৰুপে মেসেজ চালাচালি ও ফোন করে ভিড় জুটিয়ে হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছে তাঁরা। তবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে অনেকটাই স্বস্তিতে এই ঘটনায় জড়িত না থেকেও যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা। আসলে সেখানে অশান্তির বাঁধানো একটা পূর্ব পরিকল্পনা আগে থেকেই হয়েছিল বলে মনে করছে ‌তথ্যভিজ্ঞ মহল। তাঁরা চাইছেন ঘটনার সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আসুক।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!