Thursday, April 25, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

ধুন্ধুমার বিহার বিধানসভায়! আরজেডি বিধায়কদের বেধড়ক মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দিল পুলিশ

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: একটি বিল ঘিরে ধুন্ধুমার বিহার বিধানসভায়। বিধানসভার ভিতরেই রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর বিধায়কদের বেধড়ক মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বিধানসভার ভিতর থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই গ্ৰেফতার করা হয়েছে আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব ও তাঁর ভাই তেজ প্রতাপ যাদবকে। মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর অসুস্থ বিধায়ক সতীশ কুমার। আহত হয়েছেন আরও কয়েক জন। মঙ্গলবারের এই ঘটনা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটমাধ্যম থেকে রাজনৈতিক মহলে।

এই মারধরের একাধিক ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এক বিধায়ককে পিছন থেকে কিল-ঘুসি মারতে মারতে বাইরে বের করে দিচ্ছেন এক পুলিশকর্মী। স্ট্রেচারে করে বাইরে বের করতে হয় সতীশ কুমারকে। এ ছাড়া আরও কয়েক জন বিধায়ককে ধাক্কা দিয়ে, ঘুসি মারতে মারতে বাইরে বের করে আনার ছবি দেখা গিয়েছে নেটমাধ্যমে। মহিলা বিধায়কদের অবশ্য বের করা হয় মহিলা পুলিশ দিয়ে। তবে তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়নি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘বিহার স্পেশাল আর্মড পুলিশ বিল ২০২১’ ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই বিলে এমন ধারা রয়েছে, যাতে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই কারও বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধানসভার অধিবেশন ব্যাহত করার চেষ্টা করেন বিরোধী আরজেডি-র বিধায়করা। তার জেরে দফায় দফায় অধিবেশনের কাজ ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা ওয়াকআউট করার পর বিল পাশ হয়ে যায় বিধানসভায়। তার পরেও বিল প্রত্যাহারের দাবিতে স্পিকার বিজয়কুমার সিংহকে চেম্বারে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তেজস্বী যাদবের দলের বিধায়করা। দীর্ঘক্ষণ স্পিকার এ ভাবে আটকে থাকার পর ময়দানে নামে পুলিশ। কার্যত মারতে মারতে, কাউকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে দিতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা।

তেজস্বী বলেন, ‘‘আমরা কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মেরে বের করে দেওয়া হল। এই আইনের অর্থ, বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি বা গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। আদালত বা বিচারকের অনুমতিরও প্রয়োজন নেই। এই কালা কানুনের বিরুদ্ধেই আমরা প্রতিবাদ করছিলাম।’’ বিধায়ক সত্যেন্দ্র কুমারের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ সুপার আমার বুকে আঘাত করেন। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।

বিধানসভার ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে মার্শাল বাহিনী। অধিবেশন চলাকালীন বা অন্য কোনও উত্তেজনার পরিস্থিতি তাঁরাই মোকাবিলা করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ডাকার রীতি রয়েছে। কিন্তু তার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে পুলিশ কী ভাবে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এমন অভব্য আচরণ করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আরজেডি বিধায়করা। সতীশ কুমার বলেন, ‘‘দেখুন কী ভাবে এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে।’’

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!