দৈনিক সমাচার, স্পোর্টস ডেস্ক : সাঁতারে চার-চারটি পদক জিতেও বঞ্চনার শিকার ক্যানিংয়ের ছেলে সাহিল লস্কর। সাব-জুনিয়র, জুনিয়র, এশীয় মিট মিলিয়ে যাঁর ভাড়াবাড়ির ভাঙাচোরা আলমারিতে রয়েছে প্রায় ষোলোটি পদক। সেই সাহিলের জন্য পুষ্টিকর খাবার জোগানোর পয়সা জোগাড় করতে পারছেন না বাবা-মা। বাংলার এই প্রতিভাধর সাঁতারুকে থাকতে হয় শুধুই রুটি-তরকারি খেয়ে।
সাহিলের বাবা বাবা রং মিস্ত্রি। কোনও দিন কাজ থাকে, কোনও দিন থাকে না। খাবারই ঠিকঠাক জোটে না। অনুশীলনের পরে মুরগির মাংস, ডিম-সহ অন্য প্রোটিন খাবারের প্রয়োজন। সাহিল কান্নামাখা কন্ঠে জানায়, ‛জাতীয় শিবিরে থাকলে এগুলো পাই। এখানে কে দেবে? বাড়িতে রুটি-তরকারি করে দেয় মা। কান্না পায়। কী ভাবে সাঁতার চালিয়ে যাব, জানি না। সব অন্ধকার মনে হয়।’
রাজ্য সংস্থার কর্তাদের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি। ফলে চূড়ান্ত উপেক্ষা আর অবহেলার জেরে শেষ হয়ে যেতে বসেছে দেশের ও রাজ্যের অন্যতম সাঁতারু চোদ্দো বছরের সাহিল লস্করের খেলোয়াড় জীবন। সামনে কোনও জাতীয় শিবির নেই। ফলে আন্তর্জাতিক কোচের কাছে শিক্ষা নেওয়া এবং ভাল সুইমিং পুলে প্রশিক্ষণের সুযোগ নেই।
এদিকে বাংলার কোথাও আন্তর্জাতিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুযোগ নেই। বালি গ্রামাঞ্চলের ঘোলা জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমস্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঠিকমতো এগোনো যায় না। তাঁর এখনকার কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘আকবর আলি মিরের পর বাংলায় এত ভাল সাঁতারু দেখিনি। দারুণ প্রতিভা। কিন্তু কিছু করতে পারছি না এর জন্য।’
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন