নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক সমাচার, মুর্শিদাবাদ: প্রতিবছর বর্ষা আসলেই ওদের চোখেমুখে তীব্র আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়। কি জানি কবে কার বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে যাবে। এবারও বর্ষা আসতেই উথাল পাতাল গঙ্গা। গঙ্গার মারণ গ্ৰাসের ফলে বিধ্বস্ত মুর্শিবাদের সামসেরগঞ্জের ধানঘরা হীরানন্দপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভোট যায় আসে, প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। প্রতিশ্রুতি মুখেই থেকে যায়। আজও হয়নি গঙ্গার দুধার বাঁধা। এবারও ক্ষতিগ্রস্তের অংকটা হিসেবছাড়া।
গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সামসেরগঞ্জের ধানঘরা, শিবপুর, লোহরপুর, হীরানন্দনপুর সহ বেশকিছু এলাকা। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু বাড়ি, আম-লিচুর বাগান সহ বিঘের বিঘে চাষের জমি। প্রায় একশোটি (১০০টি) পরিবার ঘরহীন ভাবে ত্রান শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াল জামাআতে ইসলামী হিন্দ। ইতিমধ্যে জামাআত ভাঙনকৃত এলাকায় ত্রাণের কাজ শুরু করেছে।
জানা গেছে, প্রথম দফায় ১৯টি পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে জামায়াত। এর পর শনিবার ফের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী হিসাবে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া হয়। চোট্ট শিশুদের জন্যও খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হয়।
এদিন জামাআতের প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। জামাআতের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সাহায্যের আশ্বাস তারা প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার রাজ্য সম্পাদক মসিউর রহমান, হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের রাজ্য কো – অর্ডিনেটর মাসুদ আলম, মুর্শিদাবাদ জেলার সহ সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাফি, ব্লক সভাপতি তারিকুল ইসলাম, ব্লক সহ সভাপতি আনসার আলি সহ অন্যান্যরা।