দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সব সময় খবরের শিরোনামে যোগীরাজ্য। করোনাকালে ক্রমেই যেন সমাজ বিরোধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। গত কয়েক মাসে লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের নজরে পড়েও কোনও অজ্ঞাত কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এবার যোগীরাজ্যে ফিরল ২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণের ছায়া। শুক্রবার রাতে চলন্ত বাসেই রাতভর গণধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী।
সূত্রের খবর, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরুঠে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। শবিনার সকালে মেরুঠের দিল্লি রোডের পাশ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থেকে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর শরীরে চিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তারপরেই তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
জ্ঞান ফেরার পরেই ওই শুক্রবারের ভয়াবহ রাতের অভিজ্ঞতার কথা পুলিশকে জানা নির্যাতিতা। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বৈশালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠেন তিনি। এরপর চলন্ত বাসেই ড্রাইভার ও কনডাক্টররা জোর তাকে মাদক মিশ্রত কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করান। চলে শারীরিক নির্যাতনও। এরপর তিনি জ্ঞান হারালে ড্রাইভার ও কনডাক্টররা জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সঙ্গম করেন করেন বলে অভিযোগ করেচেন নির্যাতিতা।
ইতিমধ্যেই পুলিশের তত্ত্বাবধানেই নির্যাতিতা মহিলার মেডিকেল টেস্টও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই মহিলা আদপে মেরুঠ জেলার সারধনা শহরের বাসিন্দা বলেও জানাচ্ছে পুলিশ। তবে কোথায় যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে ওই মহিলা বাসে চড়েছিলেন সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, পুলিশি জেরাতেও ওই মহিলার কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলাচ্ছে পুলিশ।