দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি আবশ্যকি। নির্দেশিকা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। হঠাৎ করে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে বেশ চাপে পড়বে মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএন খানওইলকর, বিচারপতি বি আর গাভির বেঞ্চ এই রায় দেয়। এর আগে এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত নিয়েও উদ্ধব ঠাকরে সরকার এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
যেকোনও ঘটনার সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি আবশ্যিক। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এএন খানওইলকর, বিচারপতি বি আর গাভির বেঞ্চ এই রায় দেয়। তাঁরা জানিয়েছেন সংবিধানে রয়েছে এই নিয়ম। সংবিধান রক্ষার্থে এটা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা।
গত কয়েক মাস ধরে একাধিক রাজ্যে সিবিআই হানা দিতে শুরু করেছে। একাধিক সরকারি আমলা এবং শীর্ষ কর্তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে সিবিআই। তাঁরাই দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি অবিজেপি একাধিক রাজ্যে সিবিআই রেড বেড়েছে। তার প্রেিক্ষতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
একুশের ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক মামলার সিবিআই তদন্তে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সারদা কাণ্ড থেকে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে গতি বাড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এগুলি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভোটে জিততে এজেন্সি দেখিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখায় বিজেপি। কেউ মুখ খুললেই এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়েও একাধিক ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তে গতি বাড়ানো হয়েছে।
ভোটে জিততে সিবিআইকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। একাধিক ক্ষেত্রে ইডি, আয়কর এবং সিবিআইকে হাতিয়ার করে ভয় দেখানো হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাদের। এমনকী সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধেও এজেন্সি ব্যবহার করে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে উত্তাপ বেড়েছে। সম্প্রতি গরুপাচার কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের যোগ রয়েছে বলে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিজেপি।