দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আর কদিন পরেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট। ভোটগ্রহণের সপ্তাহ চারেক আগেই আসন বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্তের দল ডিএমডিকে।
ডিএমডিকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আসন বণ্টন নিয়ে এআইএডিএমকে-বিজেপি জোটের সঙ্গে তিন দফায় আলোচনা হয়েছে। তারপরও রফাসূত্র মেলেনি। তার জেরে জোটের সঙ্গত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে জোটে সামিল হয়েছিল ডিএমডিকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অসমে বিজেপি-র সহযোগী বড়োল্যান্ড পিপলস প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট (বিপিপিএফ) এনডিএ জোট ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে।
সূত্রের খবর, বিজয়কান্তের দল ২৫টি আসনের দাবি জানালেও এনডিএ জোট ১৫টির বেশি ছাড়তে রাজি হয়নি। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় বিজেপি-কে ২০টি আসন ছেড়েছে শাসকদল এডিএমকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অম্বুমণি রামডসের দল পিএমকে-কে ছেড়েছে ২৩টি। জয়ললিতার সঙ্গী শশিকলার ভাইপো দিনাকরণের দল এএমএমকে-র সঙ্গে আসন রফা নিয়ে বিজয়কান্তের আলোচনার ‘খবর’ও মঙ্গলবার সামনে এসেছে।
তামিলনাড়ুতে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২৩৪। ২০১৬ সালে যে ২৩২ টি আসনে ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়েছিল, তার মধ্যে ১৩৪ টি আসনে জিতেছিল এআইএডিএমকে। ডিএমকের ঝুলিতে গিয়েছিল ৯৭ টি আসন। খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তারপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিজেপি এবং এআইএডিএমকে। তার রেশ ধরে গত নভেম্বরে এআইএডিএমকে জানিয়েছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে কে পলানিস্বামীর নামও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোটে একসঙ্গে যে লড়াই করবে দু’দল, তা চলতি বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে বিজেপি।