Thursday, November 21, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

বাংলাকে ভাগ করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি, অভিযোগ অধীরের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার পরাজয় বিজেপি হজম করতে পারছে না তাই বাংলাতে একটি সংকীর্ণ এবং অস্বস্তিকর রাজনৈতিক পরিবেশের জন্ম দিতে চাইছে তারা বলে সোমবার অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

অধীরবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার পরিকল্পনা এর আগেও হয়েছে। কখনও সেটা হয়েছে গোর্খাল্যান্ডের নামে, কখনও তা হয়েছে কামতাপুরি আন্দোলনের নামে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি হবে এমন একটি রাজনৈতিক প্রচার স্বাধীনতার পর থেকেই ওই এলাকাতে রয়েছে।”

অধীরবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি যখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের বিভাজন চাইছে তার অর্থ এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রচার। বিজেপির উত্তরবঙ্গের নেতা কলকাতার নেতাদেরকে অন্ধকারে রেখে উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন মনে করবার কারণ নেই।” সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গের বিভাজন চেয়ে বক্তব্য রাখলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান ওই মত বিজেপি সমর্থন করে না এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “উত্তরবঙ্গে জনসংখ্যার মধ্যে আদিবাসীদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। তাই খুব পরিকল্পিতভাবে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের দাবি বিজেপির একজন আদিবাসী নেতা তুলেছেন।”

বহরমপুরের কংগ্রেস সংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “উত্তরবঙ্গের খুব কাছেই ভুটান, নেপাল এবং সিকিম সীমান্ত রয়েছে। তাই সামরিক দিক থেকে এই জায়গার অবস্থান ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার ধারণা রাজনৈতিকভাবে পরিকল্পিত পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের দাবি। পরিকল্পিত অঙ্কে সঙ্কীর্ণ এই রাজনৈতিক তাস খেলা হচ্ছে যা আগামী দিনে বাংলার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।”

তিনি বলেন, “বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ রাজনৈতিক দল। এই দলে তার একজন এমপি কি বলছেন সেটি তার রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানেন না আমি তা বিশ্বাস করতে রাজি নই। আমার দৃঢ়বিশ্বাস সূক্ষ রাজনৈতিক অঙ্ক থেকেই হঠাৎ করেই উত্তরবঙ্গ বিভাজনের দাবি তোলা হয়েছে।”

 

অধীরবাবু আরও বলেন, “এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণবঙ্গে শিল্প বেশি হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের উচিত উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা। এই সুযোগ নিয়ে বিজেপি বা অন্য কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক শক্তি যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সেই কারণে রাজ্য সরকার সচেষ্ট হওয়া উচিত। একটি ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গকে সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করলে তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।”

অধীর চৌধুরীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর দিল্লিতে সম্প্রতি যে পর্যলোচনা বৈঠক হয়েছে তার পরই বঙ্গ বিভাজনের মত পরিকল্পনার জন্ম হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন যে বাংলায় নতুন করে অশান্তির জন্ম দিলে তবেই এই পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্ত হওয়া যেতে পারে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির বিরোধিতা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।”

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!