দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে দেশের কার্যকরী বিরোধী দল হিসেবে ব্যর্থ কংগ্রেস’, ফের এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলেরই নেতা কপিল সিব্বল। তার দাবি, কংগ্রেস যতদিন না মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে নিজেদের নীতি আদর্শের কথা তুলে ধরবে, ততদিন এই দলের পুনরুত্থান সম্ভব নয়।
সিবলের কথায়, ‘একটা দলকে কী করে আমি কার্যকরী বিরোধী দল বলব? দলটার ১৮ মাস ধরে স্থায়ী কোনও সভাপতিই নেই। দল এত বড় ব্যবধানে হারার পরও সেটা নিয়ে কোনও আলোচনাই হল না।’ সিবল অবশ্য এদিন খুব সচেতনভাবে রাহুল এবং সোনিয়াকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলছেন, ‘আমি রাহুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি না। লোকে রাহুলের নেতৃত্বের উপর ভরসা করে। কিন্তু লড়াইটা দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক আভিজাত্য বজায় রাখার লড়াই। আজ কংগ্রেস কর্মীরা বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। বাড়ি থেকে বেরলে লোকে প্রশ্ন করে, তোমার দলটার কী হল? লক্ষ লক্ষ কংগ্রেস কর্মীকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি কাউকে চ্যালেঞ্জ করছি না। এটাও বলছি না রাতারাতি সব বদলে যাবে। আমাদের এখন মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, কংগ্রেস কী।’
কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহের আঁচ অনেক দিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। বিহার ভোটের অনেক আগেই দলের ২৩ জন প্রথম সারির নেতা শীর্ষ নেতৃত্বে বদলের দাবিতে সোনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। সে নিয়ে জলঘোলা হয় বিস্তর। তারপর বিহার নির্বাচনের হতশ্রী ফলাফল সেই বিদ্রোহের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। প্রকাশ্যেই দলের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিবলের মতো বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর সাফ কথা, হারাটাই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কংগ্রেসের। সিবলের নিশানা সরাসরি ছিল গান্ধী পরিবারের দিকে। যার জেরে সলমন খুরশিদ, অধীর চৌধুরির মতো নেতারা পাল্টা তোপও দেগেছেন তাঁকে। অধীর তো সরাসরি দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও দমতে নারাজ সিবল। গতকাল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস এই মুহূর্তে বিরোধী হিসেবে কার্যকরীই নয়।