দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মালদার মানিকচকে গঙ্গায় ফের ভেসে এল মৃতদেহ। জানা যায়নি মৃত ব্যক্তির পরিচয়। মৃতদেহ ভেসে আসা নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুণ্যসলিলা গঙ্গায় বুধবার সকালে ফের মৃতদেহ ভেসে আশায় আতঙ্ক ছড়াল মালদার মানিকচকের জোতপাট্টা গ্রামে। ভাসতে ভাসতে একেবারে তীরে এসে পৌঁছে মৃতদেহটি আটকে যায় কচুরিপানার মধ্যে।
মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। দেহটি ভিন রাজ্য থেকে ভেসে এসেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার। অলোক রাজোরিয়া বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহে পচন ধরেছে। কোথা থেকে আসছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের মনে কাঁপন ধরিয়েছে মৃতদেহ ভাসার দৃশ্য। মনে করিয়ে দিয়েছে চলতি মাসের ৫ তারিখের ছবি। ওই দিন এক জোড়া মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় ভূতনি এলাকার গঙ্গায়।
মানিকচকের এক বাসিন্দা এদিন বললেন, এর আগেও মৃতদেহ ভেসে এসেছিল। আবার এল। করোনার মৃতদেহ কিনা প্রশাসন খতিয়ে দেখুক। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সীমানাবর্তী এলাকা ভূতনি। বেশ কিছুদিন আগে, বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার পাড় ধরে সার দিয়ে কোভিডে মৃতদের পচাগলা দেহ পড়ে থাকার ঘটনা সামনে আসে।
তারপরই ভূতনিতে গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভাইরাল হয় উত্তরপ্রদেশে ব্রিজ থেকে করোনার মৃতদেহ নদীতে ফেলার ছবি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের। ভিনরাজ্য থেকে মৃতদেহদুটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় মৃতদেহ উদ্ধারের পরপরই, এরাজ্যেও মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বলে, প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ফের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আবারও একবার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে দেহ ভাসিয়ে দিচ্ছে। কুমির খেয়ে নিচ্ছে। এখানে ৭টা বডি পেয়েছি। গঙ্গা দিয়ে এখনও অনেক মৃতদেহ ভেসে আসছে। খালি বড় বড় কথা। সবমিলিয়ে ফের গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসায় প্রবল আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।