দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আজ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ৫ জেলায় মোট ৪৪ আসনে ভোটগ্রহণ। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে যথাক্রমে ৫ ও ৯ আসনে ভোট।দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় যথাক্রমে ৯, ১০ ও ১১ আসনে ভোট। হাওড়ার ৯টি, আলিপুরদুয়ারের ৫টি, কোচবিহারের ৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১টি ও হুগলির ১০টি আসনে ভোটগ্রহণ। মোতায়েন থাকছে প্রায় ৮০০ কোম্পানি বাহিনী। কলকাতায় বুথের ২০০ মিটার ও অন্যত্র ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।
সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরু হতেই একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি খবর। ভোটের আগের রাতে ভাঙড় বিধানসভার কৃষ্ণমাটি এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, হামলার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এসমাইল মোল্লার বাড়ির সামনে পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আইএসএফ সদস্যরা। যদিও আইএসএফের দাবি, নিজেরা ভাঙচুর করে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল।
ভোট শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে বেহালা পূর্ব বিধানসভার রামজীবনপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে খেলা হবে বলে হুমকি দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করায় শুরু হয় ইটবৃষ্টি। হামলা, হুমকির অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
ভোট শুরুর আগে বালি বিধানসভার অন্তর্গত ৬৪ নম্বর বুথে বেলুড়ের লালবাবা কলেজে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয় তাদের এজেন্টকে। এনিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’ পক্ষের এজেন্টকেই বুথে বসানো হয়।
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এখনও পর্যন্ত যাদবপুরে চলছে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ। এর আগে পাটুলিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সিপিএমের মহিলা এজেন্ট। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে নিজেকে রক্ষা করতে ভোটের দিন সকালে হেলমেট পরে বাড়ি থেকে বের হন নাটাবাড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।