দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে তাঁর প্রথম সভা। সেই সভা থেকেই একযোগে বিজেপি ও তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। একদিকে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় আগুন জ্বালানোর অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে তাঁর মুখে উঠে এসেছে কাটমানির কথা।
সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে রাজ্যে ভোটপ্রচারে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁর প্রথম সভাতেই রাহুল বলেন, ভোটের প্রচারে নয়, বাংলার মানুষকে সতর্ক করতে এসেছেন তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। বাংলার ভবিষ্যৎ রক্ষা করতেই তিনি এসেছেন বলেও জানিয়েছেন রাহুল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি উত্তর প্রদেশে আগুন লাগিয়ে এখন করোনা পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। বিজেপি বাংলা ভাগের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের যে লড়াই তা রাজনৈতিক এবং মতাদর্শের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলেছেন, কিন্তু তৃণমূল মুক্ত ভারতের কথা বলেননি। রাহুল গান্ধী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে ভয় পান।
এদিনের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন করেন বাংলার জন্য কী করেছেন মোদী? তিনি কটাক্ষ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর একটাই লক্ষ্য। সকলকে লড়াই করিয়ে দেওয়া, যাতে কেউ তাঁকে প্রশ্ন করতে না পারেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কতজন লোককে চাকরি দিয়েছেন মোদী। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার অভিযোগ তিনি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে। তাঁর আরও অভিযোগ, আগে ছোট দোকানদারদের মেরেছেন, এখন কৃষকদের মারছেন। নোটবন্দির লাভ সাধারণ মানুষের নয়, মোদীর বন্ধুদের হয়েছে, মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। একবছর আগেকার লকডাউনের কথা স্মরণ করে রাহুল বলেছেন, মোদীজি কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই লকডাউন করেছিলেন। পাশাপাশি সেই লকডাউনের মধ্যে হাতে তালি দেওয়া এবং প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদীকে।
এদিন রাহুল গান্ধী তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে বলেন, এখানে রোজগার করতে গেলেই প্রথমে কাটমানি দিতে হয়। পাশাপাশি তিনি ভোটের ময়দানে খেলা হবে স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, খেলা খেলতে গেলে তো রাস্তায় খেলতে হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়দানে খেলতে হবে। সেটা তো মমতাজি হতে দেবেন না।