দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের দলিত যুবতীকে চার যুবক গণধর্ষণের করে বলে অভিযোগ ওঠে। গণধর্ষণের পরে যুবতীর উপরে বীভৎস অত্যাচারও করা হয়। এর ফলে তাঁর শরীরে নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়। সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। পরে দিল্লির সফদরজঙ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ফলে গোটা দেশ গর্জে উঠে। দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে গোটা দেশ মুখর হয়ে ওঠে। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে জোর করে যুবতীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ উঠে।
নির্যাতিতার জামাইবাবুর দাবি, জেলাশাসকের জন্যই এমনটা হয়েছে। ওর পদত্যাগ করা উচিত। এমনি কি যুবতী ধর্ষণ হয়নি এমন কথাও প্রচার করতে থাকে যোগী সরকার। তাঁরা কোনো মতোই মেনে নিতে চায়নি যে ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ হয়েছে। যোগী প্রশাসন দাবি করেছিল স্রেফ রাজ্য সরকারের বদনাম করতে এবং হিংসা ছড়াতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। একপ্রকার যোগী সরকার অপরাধীদের আড়াল করতেই যেন তৎপর ছিল। সেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বকলমে খারিজ করে দিয়েছে। যে কারণে গোটা পরিবার ন্যায়ের আশা দেখছে।
শুক্রবার হাথরাস মামলার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ছাড়াও তফসিলি জাতি / উপজাতির প্রতি নৃশংসতা রোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। টিভিতে সেই খবর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতার বাবা।
একথা জানিয়ে নিহত তরুনীর এক দাদা জানাচ্ছেন, চার্জশিট থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না আমাদের। আসলে এই ঘটনা সময় পুলিশ প্রশাসনের মুখে শোনা গিয়ে ছিল উল্টো সুর। অভিযোগ উঠেছিল অনার কিলিংয়ের দাবি। সেকথা জানিয়ে নির্যাতিতার আরেক দাদা জানাচ্ছেন, প্রতিবেশীরা ও গ্ৰামের বাকিরা সকলেই তাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল এমনকি জেলা শাসকও। তার কথায়, ‘ ওরা আমাকেই অভিযুক্ত করেছিল। আমিই নাকি বোন কে খুন করেছি। বলেছিল এটা অনার কিলিং ছাড়া কিছু নয়। তবে এবার আমাদের আশা অভিযুক্তরা দ্রুত শাস্তি পাবে। মামলার চার্জশিটকে ন্যায়ের প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন তিনি। অনেক লড়াই লড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে। বিশেষ করে প্রশাসনই যখন তাদের বিশ্বাস করছিল না। তাই যুদ্ধটা রীতিমতো শক্ত ছিল। কিন্তু সিবিআই এর চার্জশিট দেখে ন্যায়ের আশায় দিন গুনছে পরিবার।