দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন রাজ্যে। আর মিরজাফর শুভেন্দুর নামে আর কোনও মা নিজের সন্তানের নাম রাখবেন না। ব্যারাকপুরে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়েই নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়েছে। নন্দীগ্রামের লোকেরাই বলেছেন সেকথা। মমতা না গেলে শুভেন্দুর দেখা মিলত না। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ছেলেরাই লড়াই করেছে। কাজুবাদাম খেয়ে এসি ঘরে থাকা জমিদার বাড়ির ছেলে বলছে পান্তা ভাত খেয়ে বড় হয়েছি। পান্তা ভাত কাকে বলে জানেই না শুভেন্দু। একের পর এক আক্রমণের তীরে অধিকারী গড়ের রাজপুত্রকে বিঁধেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যারাকপুরের সভা থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের নিশানা করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই তাঁরা নির্বাচনে জিততে পেরেছেন। সেকথা অস্বীকার করছেন শুভেন্দু। এতো বড় জননেতা হলে ২০০১ সালে হারতে হয়েছিল কেন। ২০০৬ সালে বিধানসভা কেন্দ্র বদলে তবে জয় পেয়েছিলেন শুভেন্দু। সেকথা ভুলে গিয়েছে মির্জাফর মেদিনীপুরের ‘মেজবাবু’। কটাক্ষ করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে একাধিক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তিনি পান্তা খেয়ে বড় হওয়ার গ্রামের ছেলে। গ্রামের মেঠো রাস্তায় হাঁটাই তাঁর অভ্যাস। শুভেন্দুর এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে কল্যাণ বলেছেন পান্তা তো দূরের কথা কাজু খেয়ে বড় হয়েছেন শুভেন্দু। জমিদার পরিবারের ছেলে। কাঁথিতে এসি ঘর থেকে বেরোতেন না তিনি। মিথ্যে কথা বলে মানুষের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নন্দীগ্রাম নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। তৃণমূল না শুভেন্দু নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব কার এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ব্যারাকপুরের সভা থেকে নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কল্যাণ দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছিলেন বলেই রাস্তায় নেমেছিল মানুষ। শুভেন্দু এসি ঘর থেকে বেরোতে চাইতেন না।