সাকিব হাসান, দৈনিক সমাচার, কুলতলী: জীবন জীবিকার সন্ধানে নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা ও সুন্দরবন জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া মহুলীরা। লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মানুষ কেমন আছেন? বেশ কয়েক বছর আগে আইলা, ফণি, আমফান দীর্ঘদিন ধরে চলা করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন। কয়েক মাসে মারণব্যাধি সারা বিশ্বকে আজ পর্যন্ত পর্যুদস্ত করে চলেছে। তারই মধ্যে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার মানুষদের নদীতে কুমির,আর বনে হিংস্র বাঘের থাবা। তারই মধ্যেও বেঁচে আছে এই সুন্দরবনের মানুষ।
আর এই সুন্দরবন মানুষদের জীবন জীবিকার স্বার্থে সংসার চালাতে বনে যেতে হয়। আর এই বনে যাওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের কপালে জুটেছে হাহাকার। সংসারে নেমেছে বেদনা, চলে গেছে শীথের সিঁদুর হাথের শাখা পিতার স্নেহ-বাবা বলার ডাক। আর দেখে নেব তারা এই মুহূর্তে কতটা অসহায়। সাংবাদিকরা কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় কেবলমাত্র বিনা পয়সায় পাওয়া চাল ফুঁটিয়ে শিশু পুত্র- কন্যাদের মুখে অন্ন তুলে দেয় বাড়ির গৃহিণী। কি করবে এই মুহূর্তে? রুজি-রোজগার টুকুও বন্ধ ক্ষুধায় শুকনো খাবার ছাড়া তাদের কাছে আর কিছু নেই। উপার্জন করার মত ব্যক্তি বাড়িতে নেই। নেই চাষ যোগ্য জমি কেবল বসতবাড়ি টুকু। বসতবাড়িতে সবজি চাষ নিয়ে সংসার চালানো ছাড়া গতি কি আর আছে।
নদীতে গিয়ে দুটো মাছ ধরে লোকালয় বিক্রি করবে তাও মিলছে না এই মুহূর্তে এমনই পরিবারগুলির। তাদের অভিযোগ, এলাকার জন প্রতিনিধি তাদের দিকে নজর দেয় না। কারণ, বাড়ির কর্তা থাকলে তবে রাজনৈতিক দলের ভোটের লাইনে ঘুরতো, কিছু জব কার্ডের টাকা মিলত তাদের একাউন্টে। পুরুষবিহীন এই সংসারে অধিকার নেই নারীদের তারা পাচ্ছে না (এম জি এন আর জি) এর কাজ। তারা আরও বলেন, এই মুহূর্তে তাদের কাছে আত্মহত্যার পথ ছাড়া আর কিছু নেই।