দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আমেরিকা এটাকে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সাফল্য ও কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু আইএস সৃষ্টিতে আমেরিকার হাত থাকার বিষয়টি সবারই জানা আছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত দাম্ভিকতার সাথে বাগদাদির নিহত হওয়ার বিষয়টিকে নিজেদের কৃতিত্ব বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমেরিকা বিশ্বের সর্ববৃহৎ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যা করেছে এবং তিনি নিজে অভিযান তদারকি করেছেন। আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টিতে আমেরিকার হাত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্টদের মতো ট্রাম্পও নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন, এমনকি আইএস সৃষ্টিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার হাত রয়েছে বলে ট্রাম্প এর আগে যে দাবি করেছিলেন তাও যেন তিনি বেমালুম ভুলে গেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এক নির্বাচনী বক্তৃতায় বলেছিলেন, ওবামা ও ট্রাম্প বিশ্বাসযোগ্য নন এবং আইএস সৃষ্টিতে তাদের হাত রয়েছে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনও আইএস সৃষ্টিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামার হাত ছিল বলে দাবি করেছিলেন। সব ভুলে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ‛বিশ্বের এক নম্বর শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিচার হয়েছে কারণ সে ছিল আইএস সৃষ্টির মূল হোতা এবং আমার মিত্রদের সহযোগিতায় আইএস খেলাফতের অবসান ঘটেছে।’
তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব করে আইএস সৃষ্টিতে আমেরিকার হাত থাকার বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধামাচাপা দিতে পারবেন না। কেননা এটা সবারই জানা আছে যে, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে গোলযোগ সৃষ্টি ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের মূল হোতা খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু তারপরও তিনি আসল সত্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিজেকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নায়ক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। আইএস সৃষ্টিতে আমেরিকার সব সরকারের হাত থাকা সত্বেও বাগদাদিকে হত্যার দাবি করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ থেকে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন