দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুমাত্র ‘আল কায়দা’ সংগঠনের সদস্য সন্দেহে আবু সুফিয়ানকে গ্ৰেফতার করেছে এনআইএ। যদিও দোষ প্রমাণের আগেই সবাই জঙ্গি বলেই পাইকারিহারে প্রচার চালাচ্ছে হলুদ মিদিয়া। তার বাড়ির বাঙ্কার বা সুড়ঙ্গ কিংবা শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ককে বিকৃত ভাবে প্রচার চালাচ্ছে উগ্ৰ ও কট্ট হিন্দুত্ত্ববাদীদের দল ও এক শ্রেণীর মিডিয়া। আর সেই কারণেই মুর্শিদাবাদ পুলিশের একটি বিশেষ দল অনুসন্ধান শুরু করেছে। সারাদিন তারা তদন্ত ও তল্লাশি করল আবু সুফিয়ানের গ্রাম রানিনগরে। এই গ্রামে আবু সুফিয়ানের বাড়ি। এই বাড়িতে যে বাঙ্কারটি রয়েছে সেটা আসলেই বাঙ্কার না ভিন্ন কিছু ? কিলােমিটারের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি বাড়িতে পুলিশের সদস্যরা যায় এবং এরকম বাঙ্কার বা সুড়ঙ্গ দেখতে পাই। এই নিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকারকে রিপাের্ট পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ছােট ছােট জমিতে বাড়ির ভিতর সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করে তার ওপর স্নানঘর ও শৌচালয় নির্মাণ করা হয়। আগে মাটি খুঁড়ে শৌচালয়ের চেম্বার তৈরি করে কংক্রিটের ঢালাই হয়। উপরেও কংক্রিটের ঢালাই ঢাকনা দেওয়া হয়। ঠিক এইভাবে গােসলখানা ও শৌচালয়ের নীচে চেম্বারের উপরে বাথরুম পাওয়া গিয়েছে কমপক্ষে ৭২ টা বাড়িতে। আবুসুফিয়ানের বাড়িতে গােসলখানা ও শৌচালয় তৈরি হলে সংখ্যাটা দাঁড়াত ৭৩। তাবে আবু সুফিয়ানের বাথরুটি অসম্পূর্ণ ছিল।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এনআইএ প্রথম দিন আবু সুফিয়ানকে গ্রেফতারের সময় তার বাড়ি তয়াশি করে তন্নতন্ন করে সব দেখেছে। এই কথিত বাঙ্কার বা সুড়ঙ্গ নিয়ে এনআইএ একটি শব্দও খরচ করেনি। অথচ একদিন পর থেকে বাংলার সমস্ত মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া এতোবেশি লাফালাফি শুরু করেছে যা মনে হচ্ছে এটা এমন একটা সুড়ঙ্গ যা দিয়ে পাকিস্তান বা চিন পর্যন্ত যাতায়াত করা হয়!