দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : উচ্চতা বড়জোর দু’ফুট। জন্ম থেকেই অসুস্থ, শয্যাশায়ী। সেই অবস্থাতেও পড়াশোনা বন্ধ করেনি মনিরা খাতুন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমনই যে আমফানে ঘরের চাল উড়ে যাওয়ার পরে এখনও তা পুরোপুরি মেরামত করা হয়নি। কিন্তু থামানো যায়নি মনিরাকে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে সে।
বছর ষোলোর মনিরা খাতুন থাকে মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিয়ারি গ্রামে। স্থানীয় ধুতুরদহ কল্যাণ পরিষদ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বামনপুকুর এসএমএম হাইস্কুল। তাঁর বাবা মুক্তার আলি মোল্লা পেশায় ভ্যানচালক। মা আখলিমা বিবি কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। মনিরার শারীরিক দৈর্ঘ্য মাত্র দু’ফুট।
বুধবার মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফলাফল বের হতে জানা যায় মনিরা উত্তীর্ণ হয়েছে। এই খবর গ্রামে পৌঁছাতে সকলেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। গ্রামের প্রতিটি মানুষের কাছে সে নজির তৈরি করেছে। এভাবেও যে সফল হয়ে ওঠা যায় তা প্রমাণ করেছে মনিরা। মনিরার স্বপ্ন শিক্ষিকা হওয়া। আরও বেশি পড়াশোনা করে সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে চায় সে।