দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন ওঠে গেল। অভিযোগ, ছেলেকে বাইরে বসিয়ে এক বছর ৩৫-এর যুবককে পুলিশ এমন অত্যাচার করে যে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তার পরেও অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীরকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিন পুলিশকর্মীর মধ্যে একজন আবার ডিএসপি পদাধিকারী।
জেরার নামে কয়েকজন পুলিশকর্মী থানার মধ্যে প্রদীপ তোমরকে অত্যাচার করে। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। মাস দেড়েক আগে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীর আত্মীয় প্রদীপ তোমরকে হাপুরের একটি ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রদীপের আত্মীয়দের অভিযোগ, প্রদীপের ১০ বছরের ছেলের হাতে একটা চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে সারা রাত তাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। প্রদীপের ছেলের বয়ান, ‛ওরা আমার মুখে বন্দুক ঢুকিয়ে দিয়ে শাসায় যাতে আমি একদম মুখ বন্ধ রাখি। কিছুক্ষণ পরে পুলিশের একটা লোক এসে আমার হাতে চিপসের প্যাকেট দিয়ে আমাকে বাইরে বার করে দিল। সারাক্ষণ ওরা আমার বাবাকে মারধর করে যাচ্ছিল।’
একটি টোল ট্যাক্সের বুথ থেকে পুলিশ বাপ-ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়, তাদের সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করতে থাকে পুলিশ। তার বাবাকে মারাত্মক ভাবে নিগ্রহ করা হয় এবং বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রদীপকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড পেটানো হয় এবং একই সঙ্গে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খোঁচানোও হয়। প্রদীপের একটি ভিডিয়ো করে রেখেছেন তাঁর বাড়ির লোকজন। সেখানে প্রদীপের দেহে রক্তের দাগ তো ছিলই, তাঁর দেহে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খোঁচানোর দাগ ও লাঠির আঘাতের ছবিও ছিল।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন