দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে নেই বেড, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেনের জোগান। এমনকী জীবদায়ী ওষুধ পেতেও কালঘাম ছুটছে করোনা আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়দের। এমতাবস্থায় প্রায় ১ লক্ষের বেশি জাল রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন বিক্রির অভিযোগ উঠল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর জব্বলপুরের প্রধানের বিরুদ্ধে। সর্বজিৎ সিং মকখা নামে ওই ভিএইচপি নেতার বিরুদ্ধে দায়েরও হল এফআইআরও। যা নিয়ে তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে। ওই ভিএইচপি নেতা জব্বলপুরের নর্মদা ডিভিশনের সভাপতি। তবে পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই পলাতক ওই নেতা। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত নেতা ছাড়াও এই প্রতারণা চক্রে জড়িয়েছে আরও দুই জনের নাম৷ দেবেন্দ্র চৌরসিয়া এবং স্বপন জৈন নামে ওই দুই প্রতারক সর্বজিতের সহযোগী হিসাবে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। রতীয় দণ্ডবিধির ২৭৪, ২৭৫, ৩০৮ এবং ৪২০ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে জব্বলপুরে সর্বজিতের একটি হাসপাতালও রয়েছে বলে খবর। ওই হাসপাতালকে হাতিয়ার করেই চলছিল বেআইনি কারবার। দেবেন্দ্র চৌরসিয়া ওই হাসপাতালের ম্যানেজার এবং স্বপন জৈন ওষুধ কোম্পানির ডিলার ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি এই চক্র বিগত কয়েকদিনে এক একটি জাল রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় রোগীর পরিবারের কাছে বিক্রি করেছে। নুন আর গ্লুকোজ দিয়ে তৈরি করা হত এই নকল রেমডিসিভির। মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক প্রথমসারির মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে সর্বজিতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে তাঁরও হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।