দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহারের শীতলকুচির পাগলাপীরে ৫ জনকে গুলি করে খুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনি। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন ওঁরা সত্যি কেন্দ্রীয় বাহিনি তো, না আরএসএসের ক্যাডার? যদি গুলি করার প্রয়োজন হয়েছিল তবে শূন্যে কেন গুলি ছোঁড়া হল না? বামেদের বক্তব্য, পুরো ঘটনার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্য। তৃণমূল দুষছে বিজেপিকে। অন্যদিকে, বিজেপির নিশানায় তৃণমূল। মোটের উপর ঘটনায় একে অপরের দিকে দোষ ঠেলতে চাইছে সব রাজনৈতিক দলগুলি।
শনিবার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। মৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সমর্থক বলে খবর। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রবীণ বাম নেতা রবিন দেব বলেন, ‘ কিছুদিন ধরেই কোচবিহারে উস্কানিমূলক মন্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলে কোচবিহারে গত কয়েকদিন ধরেই গন্ডোগোল হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। অন্যদিকে, এই ঘটনা ঘটতে পারে আগে থেকেই আভাস পেয়েছিলেন, দাবি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের। তিনি জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন। তিনি সাধারণ মানুষকে উসকেছেন। এই অশান্তির জন্য তিনিই দায়ী।’
এদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। অবিলম্বে ওই ঘটনার তদন্ত চাই। ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘ বিজেপি গায়ের জোরে ভোট করানোর চেষ্টা করছে। এর আগে ওখানে কোনও অশান্তি হয়নি। যদি ঘটে থাকত, তাহলে তো কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া যেত, শূণ্য়ে গুলি চালানো যেত। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে খুনের জন্য গুলি চালানো হয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনাটিকে খুনের ঘটনা হিসাবেই দেখা হোক। দোষীদের শাস্তি চাই। ‘