Sunday, February 23, 2025
Latest Newsখেলাফিচার নিউজ

নীরবেই কাজ করে চলেছেন ইউসুফ-ইরফান, পৌঁছে দিচ্ছেন রেশন, অক্সিজেন, ওষুধ

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা আবহে ইউসুফ ও ইরফান পাঠানের রাতের ঘুম উড়েছে। আর্তদের সেবায় নিজেদের নিমজ্জিত করে ফেলেছেন পাঠান ব্রাদার্স। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছেন দুই সদ্য প্রাক্তন ক্রিকেটার। দু’জনই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে ফের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে নেমে পড়েছেন দু’জনে। যদিও পুরো কাজটাই প্রচারবিমুখ হয়ে করছেন তাঁরা।

গুজরাতের বরোদায় হাজার হাজার লোকের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন ইউসুফ ও ইরফান। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন দুই ভাই মিলে। ইউসুফ বলেন, ‛আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা রয়েছে করছি। আল্লাহ আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে যা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কারও ওষুধ, ইঞ্জেকশন, অক্সিজেন বা রক্ত-প্লাজমা দরকার হলে সেগুলো খতিয়ে দেখে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ট্যুইটারে কেউ সাহায্য চাইলে চেষ্টা করছি যতটা করা যায়।’

করোনাকালে শুধু বরোদায় নয়, গোটা দেশের প্রায় ১৮-২০টি শহরে কাজ শুরু করেছেন ইউসুফ ও ইরফান। তাঁদের ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (ক্রিকেট অ্যাকাডেমি অফ পাঠানস বা ক্যাপ) ১৮-২০টি শাখা রয়েছে। সেই ক্যাপের শাখা থেকে ফুড প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে। দিল্লি, নয়ডা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গুজরাত, কাশ্মীর, সর্বত্র ক্যাপের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। ইউসুফ যোগ করেন, ‛কারও হাসপাতালে বেড প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারেও সাহায্য করছি। আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে সেই কাজগুলিও শুরু করে দিতে পারব।’

প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান বলেন, ‘আমি ও দাদা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যা টাকা রোজগার করেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন থেকে যা উপার্জন হয়েছে, সব করোনার ত্রাণে দিয়ে দিচ্ছি। দুজনে একসঙ্গে কাজ করছি। এখনও পর্যন্ত নিজেদের রোজগারের টাকায় করছি। তবে ইচ্ছে রয়েছে আমাদের ফাউন্ডেশনকে (মেহমুদ খান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) আরও বড় করে যত বেশি সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেই জায়গাটা তৈরি করতে।’ তবে এসব নিয়ে বেশি লেখালিখি চাইছেন না সিনিয়র পাঠান। ইউসুফ বলছেন, ‛আমরা প্রচার চাই না। লোকে মুখে মুখে শুনে জেনে গিয়েছে। মনে হয় না এমন কিছু মহৎ কাজ করছি। তবে আমরা গর্ব অনুভব করি বিপদের মধ্যে মানুষষের পাশে থাকতে পারছি বলে। আমাদের পরিবারের সকলেও ভীষণ খুশি।’

Leave a Reply

error: Content is protected !!