Saturday, April 20, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ ২ নেতার, চরম হতাশায় দল ছাড়ার হিড়িক বিজেপি কর্মীদের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পাঁচ সাংসদকে প্রার্থী করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজনই হেরেছেন, জয়ী হয়েছেন মাত্র দু-জন। জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক বিধানসভা ভোটে বিজয়ী হয়েও বিধায়ক হিসেবে শেষে পদত্যাগ করেছেন, বেছে নিয়েছেন সাংসদ পদ। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই সিদ্ধান্তে। হতাশ হয়ে দলবদলের হিড়িকও পড়ে গিয়েছে।

দিনহাটার বিধায়ক পদ থেকে নিশীথ প্রামাণিক ইস্তফা দেওয়ার পর নিচুতলার কর্মীরা চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছেন দলে দলে। এর ফলে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির হতাশা, এই আসনে নিশীথ প্রামাণিকের পদত্যাগের পর জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই-ই।

কোচবিহার জেলার দিনাহাটা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ৫৭ ভোটে তিনি পরাজিত করেছিলেন উদয়ন গুহকে। কিন্তু তাঁকে বেছে নিতে হবে যে কোনও একটি পদ। হয় বিধায়ক, নতুবা সাংসদ। শেষপর্যন্ত সাংসদ হিসেবেই থাকছেন নিশীথ প্রামাণিক। বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীরা হতাশ হয়ে দল ছাড়ছেন।

বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মনে ক্ষোভ, হতাশা ও আশঙ্কা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা প্রশ্নে অনেকে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের অভিযোগ, বিধায়ক থাকতে পারবেন না জেনেও নির্বাচন লড়াই করে তাঁদের সঙ্কটে ফেলে দিয়ছেন নিশীথ প্রামাণিক। বিধায়ক হিসেবে তাঁদের পাশে থাকছেন না নিশীথ।

দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁদের লড়াইকে সম্মান না দিয়ে বিধায়ক পদ ত্যাগ করছেন। উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতারা সাধারণ কর্মীদের কথা চিন্তা করেনি। এরপর মানুষ আর কেন বিজেপিকে ভোট দেবে। নিশীথ প্রামাণিক দল ছাড়ার পর অনেক বিজেপি কর্মী তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিধায়ক কর্মীদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। বেশকিছু মণ্ডল সভাপতিও তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক। আমরা আবেদনপত্র জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা নেতৃত্ব অনুমোদন করলে তাঁদের যোগদানও হবে।

যদিও বিজেপি এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কোচবিহার বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা জানিয়েছেন, বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় দলের বেশ কিছু কর্মী সাময়িকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ছিলেন। অনেকের মধ্যে অসন্তোষ দখা দিয়েছিল। এখন সেই অসন্তোষ মিটে গিয়েছে। কেউই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছে না। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফেই ভিন্ন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!