দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের উপর একইসাথে চারটি সন্ত্রাসী হামলা হয়। এই সন্ত্রাসী হামলায় ২ হাজার ৯৯৭ জন লোক নিহত হয়। সেইসাথে আহত হয় ৬ হাজারের অধিক মানুষ এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক অবকাঠামো ও সম্পদ। সারা বিশ্বে এই ঘটনা ৯/১১ নামে পরিচিত। আর এই ঘটনার পর থেকেই পাশ্চাত্য বিশ্বে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়তে থাকে।
৯/১১ ঘটনার পর থেকে পাশ্চাত্য সমাজে মুসলিমদের ‘সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়। ‛টুইন টাওয়ার’-এর ঘটনাবলির পর মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র নামে এক ধরনের ‘যুদ্ধ’ পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ এই ‘যুদ্ধ’ শুরু করলেও বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত রেখেছে।
নাইন-ইলেভেন হামলার পর থেকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অভিবাসন সকল ক্ষেত্রেই মুসলিমদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। আর এই সকল কাজে দেশটি ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’ নামে একটি নতুন বিশেষায়িত সংস্থাও গড়ে তুলে। আর এই সংস্থাটির সদস্যদের সম্পর্কে মুসলিমদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। ৯/১১ হামলার পর থেকে দেশটির বিমানবন্দরে অসংখ্য মুসলিমকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা থেকে বাদ যায়নি কোন মুসলিমই। দাঁড়ি, টুপি ও কিছু বিশেষ নামের (মুসলিমদের কিছু সাধারণ নাম) ক্ষেত্রে এই ধরণের বিড়ম্বনা আরও বেড়ে যেত বলে জানা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে যাওয়া কিংবা অভিবাসন সকল ক্ষেত্রেই মুসলিমদের জন্য কড়াকড়ি বিধি নিষেধ আরোপ ছিল। তাছাড়া, এ সকল বাঁধার বাইরে গিয়েও দেশটিতে নানাভাবে বিদ্বেষের শিকার হন মুসলিমরা।