দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এক অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করল এক স্বঘোষিত জ্যোতিষীকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে দাবি করে সে ওই বিচারপতিকে উচ্চ পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার থেকে ৮ কোটি টাকা নেয় ভুয়ো জ্যোতিষি। ৫২ বছরের যুবরাজ রামাদাসের প্রতারণা করার পূর্ব রেকর্ড রয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ৬৮ বছরের ইন্দ্রকলা বি এসের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে গত মাসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবসরপ্রাপ্ত ওই বিচারপতি উইলসন গার্ডেন থানায় ওই জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয় যে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর থেকে ৮.২৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যুবরাজ, বিচারপতিকে দেশের প্রশাসনে উচ্চ পদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে। এই গ্রেফতারের পর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) সন্দীপ পাটিল জানিয়েছেন যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন মিথ্যা দাবি, সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি ও সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগে যুবরাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিবি (সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এই তল্লাশিতে ২৬ লক্ষ টাকা নগদ এবং চেকে লেখা ৯১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনাবশত যুবরাজ অন্তবর্তীকালিন জামিনে ছাড়া পায় গত বছরের জুন মাসে এবং ডিসেম্বরেই ফের সে মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদ মিটমাট করার নাম করে ১০ কোটি টাকার প্রতারণা করে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে যুবরাজ তথা স্বামী জির পরিচয় হয় ২০১৭–১৮ সালে এক অবসরপ্রাপ্ত এসপির মাধ্যমে, যিনি যুবরাজকে ২০০০ সাল থেকে চেনেন। অভিযোগ অনুযায়ী, যুবরাজ দাবি করে তাঁর ভাগ্যে সরকারি উচ্চ পদের যোগ রয়েছে। যুবরাজ এও দাবি করে যে তার সঙ্গে দিল্লির শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং সেই সব নেতাদের সঙ্গে তার ছবিও দেখায় বিচারপতিকে। অভিযোগ অনুযায়ী যুবরাজ মহিলা বিচারপতিকে বলে, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা উচ্চ পদের জন্য আপনার মতো মহিলাদের খোঁজ করছে।’ অভিযোগে এও বলা হয়েছে যে যুবরাজ ওই মহিলাকে দলের তহবিলের জন্য কিছু অর্থ দিতে বলে, তবেই খুব সহজে সরকারি উচ্চ পদ মিলবে।