দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। নিজের সম্মানহানির কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসে আইনের সহায়তা নেওয়ার পরই পড়েন বিপদে। মামলা চলার মাঝেই গাড়ি ‘দুর্ঘটনা’য় গুরুতর জখম হন। এখনও দিল্লির এইমসে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, এতকিছুর পরেও লাগাতার হুমকি পেয়ে যাচ্ছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁরা ‘ক্যাটেগরি এ’ পর্যায়ে অর্থাৎ চূড়ান্ত হুমকি শিকার। স্পেশাল কোর্টের বিচারক ধর্মেশ শর্মাকে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতেও আদালতে আর্জি জানায় সিবিআই।
তদন্তকারীদের দাবি, এ যাবৎ হুমকির সীমা মাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রতি মুহূর্তে জীবন সংশয়ের আশঙ্কা করছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। আতঙ্কে তাঁর আইনজীবীও। সিবিআইয়ের অভিযোগের পরে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আদালত নির্দেশ দেয়, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে তাঁদের। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই এই বিষয়ে বিশদে আদালতে রিপোর্ট জমা করতে হবে যোগী প্রশাসনকে।
উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বয়ান নিতে হাসপাতালেই বসেছিল আদালত। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, নির্যাতিতা আদালতে হাজিরা দেওয়ার অবস্থায় নেই। দিল্লি হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এইমসে বসেছিল অস্থায়ী আদালত। সেখানেই হাজির করা হয় গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ ও আরও এক অভিযুক্ত শশী সিংহকে। জানা যায়, রুদ্ধদ্বার সেই শুনানিতে দুই অভিযুক্তকে সনাক্তও করেছিলেন নির্যাতিতা। সিবিআই জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ানের পর তাঁর ও তাঁর পরিবার আরও বেশি হুমকি পাচ্ছেন।