নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, নদিয়া : সিপিআইএম যুব নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছাড়ালো নদিয়ার বাদকুল্লায়। রাতের অন্ধকারে বাইকে চেপে ফেরার পথে দুস্কৃতিদের ছোড়া গুলিতে খুন হলেন সিপিআইএম নেতা বাবুলাল বিশ্বাস (৩৪)। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নদিয়ার তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা সর্দার পাড়া রাস্তার ওপর সিপিএম নেতা বাবুলাল বিশ্বাসকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুস্কৃতীরা।
খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার বাদকুল্লায় রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। সূত্রের খবর, তাহেরপুর থানার বাদকুল্লার স্থানীয় সিপিআইএম নেতা বাবুলাল বিশ্বাস মোটরবাইক চালিয়ে বাগবেরিয়া বাজার থেকে বাবুজি নগরের দিকে যাওয়ার সময় দুস্কৃতীরা তাকে ঘিরে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে দুটি গুলি লাগে বলরাম বিশ্বাসের মাথায় ও বুকে।
গুলির আওয়াজ শুনেই স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তড়িঘড়ি বলরাম বিশ্বাসকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। যুবনেতা খুনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ সিপিআইএম নেতৃত্ব তথা বিধায়ক রমা বিশ্বাসের। সিপিএম-এর অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এই যুবনেতা। এলাকায় ভালো ফল করেছিল সিপিআইএম। নিজের স্ত্রীকে ভোটেও দাঁড় করিয়ে ছিলেন তিনি।
এই খুনের ঘটনায় শনিবার রাত থেকেই বাদকুল্লা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবার সকাল থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ক্ষুব্ধ এলাকা বাসী। প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ চলার পর রানাঘাটের মহকুমা শাসক দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়। যদিও এই ঘটনায় সিপিআইএমের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই এই খুন, না এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।
সিপিআইএম বিধায়ক রমা বিশ্বাস বলেন, ওই এলাকায় বাবুলালের মতো যুবনেতাকে সরিয়ে দিতে পারলে অস্তিত্ব ফিরে পাবে তৃণমূল আর সেই কারণেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুব নেতাকে খুন করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলের নদিয়া রানাঘাটের সাংগঠনিক সভাপতি শঙ্কর সিংহ সিপিআইএমের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। সিপিআইএম প্রচার পেতে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে।