দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরিক্ত ঠান্ডায় প্রাণ হারালেন পাঞ্জাবের এক কৃষক। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের সিঙ্ঘুতে আজ ৩৭ বছর বয়সের সেই ব্যক্তি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তি তিন শিশুর বাবা বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, এই মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল এক কৃষক আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা পরেই।
আত্মহত্যা করলেন সিঙ্ঘু সীমান্ত আন্দোলনরত এক কৃষক৷ গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই কৃষক৷ তাঁর মৃত্যুর পর দেহ পানিপথের পার্ক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ বুধবার বিকেলে আচমকা গুলি করে আত্মহত্যা করেন সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত ওই কৃষক৷ পুলিশ সূত্রে খবর, করনালের বাসিন্দা তিনি৷
এই মৃত্যুর ঘটনায় সোনিপত পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ অন্যদিকে একুশ দিন হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে সিঙ্ঘু সীমান্তে। পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা শামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। তাঁদেরই একজন ছিলেন বুধবার আত্মহত্যা করা কৃষক।
এর আগে আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও এক কৃষক গুরমিত সিংয়ের। মঙ্গলবার হৃদরোগে মৃ্ত্যু হয় তাঁর। সব মিলিয়ে একের পর এক কৃষকের আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। রাজধানীর বাইরে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ জন কৃষকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সোনিপত-সিঙ্ঘু এলাকায় ৪ জন।
জানা গিয়েছে ২০ ডিসেম্বর মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে কৃষক সংগঠনগুলি। এদিকে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে। না হলে কৃষক আন্দোলন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।