দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পিপিই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইস্তফা দিতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশের বিজেপি প্রধান রাজিব বিন্দালকে। কোভিড মহামারী সামলাতে সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল সরবরাহ নিয়ে বড় রকমের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পিপিই কেনার বরাতে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ বিজেপির প্রদেশ সভাপতির বিরুদ্ধে।
৬৫ বছরের বিন্দাল গত জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। জেপি নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিন্দালের পদত্যাগের এক সপ্তাহ আগেই ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন শাখা রাজ্যের হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর ডক্টর এ কে গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে। একটি অডিও ক্লীপে দুই ব্যক্তির ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথোপকথনের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি। ৪৩ সেকেন্ডের এই ক্লিপে কোনও একজন ব্যক্তি ‛শাসক দলের এক নেতাকে ঘুষ দেওয়ার কথা বলছেন’। সেই সূত্রেই নাম জড়ায় বিজেপির প্রদেশ সভাপতির। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শান্তা কুমার বলেছেন, এই কেলেঙ্কারি মাথা হেঁট করে দিয়েছে।
এই পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষকাণ্ডে বিশেষ তদন্ত দলের সদস্য এসপি শালিনী অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, ‛তদন্তে মনে হচ্ছে ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন মেডিক্যাল সাপ্লাই ও সরঞ্জাম কেনা কাটা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। এই ক্রয়ের সঙ্গে বেশ কিছু সাপ্লায়ার যুক্ত, এমনকি রাজ্যের বাইরের সাপ্লায়াররাও।’ এডিজি অনুরাগ গর্গ বলেছেন গুপ্তাকে জেরার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেরায় ‛বিভিন্ন ভুল ও বিপথচালনাকারী উত্তর দিচ্ছিলেন এবং গত কয়েকদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলতে বলা হলে তিনি আংশিক বিস্মরণের ভান করছিলেন। তদন্ত শুরু হতেই তড়িঘড়ি পদত্যাগ করেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি। নিজেদের সরকার, পুলিশের হাতে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নিশ্চয়ই এসে গেছে যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। আর দিল্লির নেতারাও বিষয়টি চাপা দিতে দ্রুত সেই পদত্যাগ মেনে নিয়েছেন।