দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এস পি বালাসুব্রাহ্মণ্যমকে অগাস্টে কোভিড-১৯-এর জন্য ইতিবাচক পরীক্ষার পরে এমজিএম হেলথ কেয়ারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, এবং প্রাথমিকভাবে তিনি সুস্থ থাকলেও দিনে দিনে অবস্থার অবণতি হতে থাকে এবং তাকে ভেন্টিলেটর এবং ইসিএমও সাপোর্টেও রাখা হয়েছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাঁর, কিন্তু এর পরেও ভেন্টিলেটার এবং ইসিএমও সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেইসঙ্গে চলত ফিজিওথেরাপিও। গতকাল থেকেই অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। আজ মৃত্যু হয় সঙ্গীত শিল্পীর।
তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সকলেই শোকপ্রকাশ করেছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন এসপি’র দীর্ঘদিনের বন্ধু রজনীকান্ত ও অমিতাভ বচ্চন। এছাড়াও, বলিউড ও টলিউডের সকল তারকাই এই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
ছয়টি জাতীয় পুরষ্কারের বিজয়ী এস পি বালসুব্রাহ্মণ্যম নিজের জীবন ধরে বিশাল কাজ করে গিয়েছেন। রেখে গিয়েছেন বহু স্মৃতি। প্রায় ১৪ টি ভাষায় ৪০,০০০-এর বেশি গান গেয়েছেন তিনি। প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ইলিয়া রাজা, এ আর রহমান এবং অন্যান্য সুরকারদের সঙ্গে বহু অবিস্মরণীয় কাজ করেছিলেন এসপি। হিন্দি সিনেমার জগতে তিনি সলমন খানের হয়ে বেশ কয়েকটি ছবিতে গান করেছিলেন। যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সঙ্গীতে তাঁর অবদানের জন্য ভারত সরকার এসপিবিকে পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণের পুরস্কারও প্রদান করে।
১৯৬৬ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র শ্রী শ্রী শ্রী মেরিয়াদা রমনার মাধ্যমে গানের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তেলুগু, তামিল, মালায়ালম, কন্নড় এবং হিন্দি সহ ১৬ টিরও বেশি ভাষায় ৪০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। কেবল গানই নয়, বিখ্যাত দক্ষিণী তারকা কমল হাসানের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছেন, এবং তাঁরা দুজনেই প্লেব্যাক সিঙ্গার।