দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেই রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে লড়ার প্রস্ততি নিচ্ছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। এরই মাঝে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান সোনিয়া গান্ধীকে প্রস্তাব দিয়েছেন, খড়গপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করা হোক। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে বাম এবং কংগ্রেস সমঝোতা করে লড়তে পারে। কিন্তু খড়গপুরে কংগ্রেসের সাংগঠনিক অস্তিত্ব বলার মতো নয়। সেখানে বিজেপিকে হারানোর জন্য তৃণমূলকে সমর্থন করা যেতে পারে।
মান্নানের লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আসায় তুলকালাম বেঁধেছে বিরোধী শিবিরের অন্দরে! তিন বছর আগে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার প্রথম এবং প্রবল প্রবক্তা ছিলেন মান্নানই। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তিনিই প্রথম বাম-কংগ্রেসের জোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিধানসভার অন্দরে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে ধারাবাহিক সমন্বয় করেই তিনি চলেছেন। সেই তিনিই এইবার তৃণমূলকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়ে বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ ও বিদ্রুপের ঝড় তুলেছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তাঁর এহেন চিঠি কিঞ্চিত আন্দোলিত করেছে বামেদেরও।
মান্নান অবশ্য এই বিষয়ে সরাসরি জবাবে যেতেই চাননি। শুধু বলেছেন, ‛কংগ্রেস সভাপতিকে আমি কি চিঠি লিখেছি তা নিয়ে বাইরে কোনও মন্তব্য করব না।’ তাঁর কৌশলী মন্তব্য, ‘গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, মানুষের বিবেকই সব চেয়ে বড় আদালত।’’ তবে দলের অন্দরে তাঁর যুক্তি, বাংলায় বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা যখন চ্যালেঞ্জের মুখে তখন বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়ুক। দেশ জুড়ে উপনির্বাচনে খারাপ ফলের পরে বাংলায় তিনটির মধ্যে বিজেপি কোনও আসন না পেলে গেরুয়া শিবিরের পালের হাওয়া কেড়ে নেওয়া যাবে। তাঁর ওই যুক্তিকেই ‘তৃণমূলের দালালি’ হিসেবে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে বলে মান্নানের আক্ষেপ।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন