দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : গণপিটুনির ঘটনায় ফের শিরোনামে ঝাড়খণ্ড। রাজ্যের খুঁটি এলাকায় গো-হত্যার অভিযোগে কলন্টাস বার্লা নামে আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উন্মত্ত জনতা। এদিন কলন্টাস বার্লা, ফাগু কচ্ছপ ও ফিলিপ হোরো নামে তিন জনকে বেদম মারধর করে উপস্থিত জনতা। তাঁদের গুরুতর আহত অবস্থায় রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হলে সেখানে কলন্টাস বার্লার (৩৪) মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পুলিশের ডিআইজি এভি হোমকার বলেন, খুঁটিতে গো-মাংস বিক্রির সন্দেহের জেরে গ্রামবাসীদের মারধরের ফলে এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে এবং দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। সূত্রের খবর, এদের বেশকিছু ব্যক্তি ‘বজরং’ দলের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার তদন্তে পুলিশ সেখান থেকে মৃত গরু খুঁজে পায়নি। কিন্তু জনতার দ্বারা মানুষজনকে মারধরের প্রমাণ পেয়েছে।
আহত ফাগু কচ্ছপ গো-হত্যার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে বলেন, তিনি পশু বাঁধতে যাচ্ছিলেন। এসময় লোকেরা তাঁকে ধরে মারধর শুরু করে। পুলিশ যদি সময়মত ঘটনাস্থলে না পৌঁছত তাহলে প্রাণ হারাতে হতো। এদিকে গ্রেফতার হওয়া বজরং দলের কর্মীদের মুক্তি দাবিতে কমপক্ষে দেড়শ’ গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির আশ্বাস দিয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে শান্ত করে ফেরত পাঠাতে সমর্থ হয়।