দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনাকালে পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতে সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যে বিষয় গুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এমন কিছু অধ্যায় আছে যা বির্তক সৃষ্টি করছে। কেন্দ্র যখন এই পদক্ষেপ নিয়েছিল তখন যে বির্তক হয়েছিল। এবার অসম বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তে একই ধরনের ঘটনার প্রতিফলন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সম্প্রতি পড়ুয়াদের ওপর থেকে চাপ কমাতে ক্লাস ১২-এর সিলেবাসের ৩০ শতাংশ ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম বিজেপি সরকার। যে চ্যাপ্টারগুলো ছাটা হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জীবনী, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট। এবং বর্ণবাদ নিয়ে লেখা একটি চ্যাপ্টার বাদ দেওয়া হয়েছে। সিলেবাস থেকে যে যে অংশগুলো বাদ পড়েছে, তা গতকাল অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে অসমের শিক্ষামন্ত্রকের অবশ্য দাবি, সিলেবাস থেকে যে অধ্যায়গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিলেবাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে স্বাধীনতার পরবর্তী ভারতের প্রতি নেহেরু এবং কংগ্ৰেস দলের অবদান।
এছাড়াও বাদ দেওয়া হয়েছে শিখ দাঙ্গা ও গুজরাত দাঙ্গার সমস্ত অধ্যায়। বাদ পড়েছে অযোধ্যার বিবাদ সম্পর্কিত তথ্য। অসমের শিক্ষা পরিষদ জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ পড়ুয়াদের চাপ কমানোর উদ্দেশ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং পড়ুয়ারা যাতে অতি সহজে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে সেই উদ্দেশ্যে অংশগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে এই সিলেবাসের মধ্যে থেকে এই অধ্যায়গুলো বাদ দেওয়ার পর বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক বির্তক শুরু হয়েছে। কংগ্ৰেসের দাবি, ইতিহাস সম্পর্কে পড়ুয়াদের অজ্ঞাত রেখে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। বিজেপি অবশ্য কংগ্ৰেসের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমানোর উদ্দ্যেশ্যই এই সিদ্ধান্ত এমনটাই দাবি অসম সরকারের।