দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির হেফাজত থেকেই উধাও রোজভ্যালির তদন্তের মোবাইল-ল্যাপটপ! যার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডর বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইলের খোঁজ পেতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর (ইডি) অফিসারদের জেরা করতে শুরু করেছে সিবিআই। আর তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর ভূমিকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রোজভ্যালি দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে ইডি। এরপরই কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাজেয়াপ্ত করে তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল, নথি সবকিছু-ই। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের মে মাসে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এখন রোজভ্যালি তদন্তের জাল যখন গুটাচ্ছে সিবিআই, তখন-ই ইডির কাছে বাজেয়াপ্ত সেই ল্যাপটপ, মোবাইল চেয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তদন্তের স্বার্থে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই ল্যাপটপ ও মোবাইলের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গৌতম কুণ্ডুর বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ-মোবাইলের কোনও হদিশ-ই নেই! এখন ইডির হেফাজতে থাকা সামগ্রী কী করে ‘উধাও’ হয়ে যেতে পারে? কোথায় গেল বাজেয়াপ্ত সেই ল্যাপটপ ও মোবাইল? স্বাভাবিকভাবেই উঠছে সেই প্রশ্ন। ‘উধাও’ ল্যাপটপ-মোবাইলের খোঁজ পেতে সিবিআই’র তরফে তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইডির তত্কালীন ৩ তদন্তকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে। সবমিলিয়ে আতস কাঁচ-এর তলায় ইডির ভূমিকা।