দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে দলিত, সংখ্যালঘু, খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষের উত্তর নিগ্ৰহের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মাঝেমধ্যেই শিরোনাম আসে উত্তরপ্রদেশ। এবার এক দলিত সম্প্রদায়ের কৃষক সেচের জল দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর গলা কেটে খুন করা হল। উচ্চবর্ণের এক কৃষকের জন্য জল ভাগ করতে রাজি হয়নি দলিত কৃষক। আর তার ফলস্বরূপ তাঁকে হত্যা করা হল। এই পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদাউনের দিন নগর শেখপুর গ্ৰামে।
সূত্রে খবর, সোমবার সকালে নিজের জমিতে জল সেচ করছিলেন নাথুলাল জাতভ। পাশের জমির কৃষক রূপ কিশোর ঘটনাস্থলে আসে। সে নাথুলাল কে বলে, জল যেন তাঁর খেতের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। নাথুলাল তাতে সায় না দিয়ে জানায়, তাঁর জমিতে আরও জলের দরকার আছে। এর পরই নাথুলালের উপর রূপ কিশোর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। মারধরের পর ক্লান্ত হলে গেলে মানা থেকে আলাদা করে দেয় সে। সবটা দেখে আশেপাশের কৃষকরা আটকাতে এসেও পালিয়ে যায়। কারণ রূপ কিশোর ততক্ষণে নাথুলালের উপর কোদাল নিয়ে চড়াও হয়েছে।
তাঁর ছেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটা রূপ কিশোরের একার কাজ নয়, আরও কেউ যুক্ত আছে। তিনি বলেন, রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁরা জমিতে কাজ করছিলেন। বাবা আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পর নাথুলাল বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে ছেলে মাঠে গিয়ে দেখে নাথুলালের মুণ্ডহীন দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষ।
পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ ভার্মা জানান, ওমপালের অভিযোগের ভিত্তিতে রূপ কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি বলেন, বিলসি থানায় রূপ কিশোরের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের আওতায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। খুনের পর উধা হয়ে যায় রূপ কিশোর।তাকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি অপরাধী ধরা পড়বে, এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।