Thursday, April 25, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

মুসলিম বিরোধী চিঠি! অসমের সেই বিচারকদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কংগ্রেস

ছবি : সংগৃহিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, করিমগঞ্জ : জামাত, জেহাদি, জাহিলদের সাহায্য করবেন না! অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এমনই আবেদন করেছেন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের ১৫ জন বিচারক। করোনার থাবা থেকে মানবজাতিকে রক্ষার উদ্দেশে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু একইসঙ্গে এমন আর্জিও জানিয়ে রাখা
হয়েছে তাঁদের পক্ষ থেকে। কমলেশ কুমার গুপ্তার নেতৃত্বে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের ১৫ সদস্য রাজ্যের আরোগ্য নিধি ফান্ডে সামান্য নগদ সাহায্য পাঠিয়ে অসম বিধানসভার কেবিনেট মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে চিঠি লেখে শর্ত দিয়ে জানায় তাদের দানের টাকা যেন কোন জামাত, জেহাদি এবং জাহিলদেরকে দেওয়া না হয়। এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

তাঁদের দুর্ভাগ্যজনক সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কীছে নালিশ জানিয়েছেন, পরিষদীয় দলপতি তথা কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত শইকিয়া। বিচার বিভাগের অংশ ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালের সদস্যদের বিশেষ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান দেবব্রত। হাইকোর্টের আইনজীবী তথা রাজ্যিক স্থরের সংখ্যালঘু কংগ্রেস নেতা দাইয়ান হুসেনের বিশেষ তৎপরতায় এ উদ্যোগ নিয়ে চিঠির প্রতিলিপি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত মুলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন অসম বিধানসভার এই বিরোধী দলনেতা।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বাকসা জেলার ফরেনার্স ট্রাইবুনাল সদস্য কমলেশ কুমার গুপ্তা স্বাক্ষরিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে মােট পনেরাে জন সদস্যের নাম রয়েছে। হিমন্তের কাছে পাঠানো চিঠিতে যেসব মেম্বারের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন শিলচর ট্রাইবুনালের সদস্য এবং একজন করিমগঞ্জের। তারা হলেন শিলচরের রঞ্জন রায়, ব্রজেন্দ্রকুমার তালুকদার এবং করিমগঞ্জের প্রদীপকুমার দাস। অন্য তিনজন স্বর্ণালী ঘােষ, প্রলয় নাথ ভট্টাচার্য এবং চিঙ্গি চাংসন। এছাড়া, বাকি নয়জন ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার। হিমন্তের কাছে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট দাবি ছিল জামাত, জেহাদি এবং জাহিলদের যেন এই অনুদান থেকে কোনও রকম সাহায্য করা না হয়। পরবর্তিতে চাপে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কে কে গুপ্তা রাজ্যের ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

 

অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।

আমাদের খবরাখবর ভালো লাগলে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে পাশে থাকুন

Leave a Reply

error: Content is protected !!