কল্যাণী, ২০ আগস্ট: সোশ্যাল সাইটে দিন কয়েক আগে পোস্ট হওয়া কয়েকটি ছবি (ছবির সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক সমাচার) আঁতকে উঠেছিলেন নদিয়ার কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকেরা। ছবিতে তাঁরা দেখেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শফিউল্লাহ মালিকজাদা আলোচনায় মগ্ন তালিবান জমানায় আফগানিস্তানের কাপিসা প্রদেশের কৃষি বিভাগের প্রধান হজরত মোলাভির সঙ্গে। আর একটি ছবিতে দেখা যায়, সশস্ত্র তালিবানদের সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ‘শফি-ভাই’ (এই নামে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন তিনি)।
শফির পরিচিতেরা উদ্বিগ্ন এটা ভেবে, যিনি প্রকৃতি ভালবাসতেন, যিনি এখান থেকে গাছের চারা নিয়ে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে, সেই আবেগপ্রবণ যুবক কি তবে তালিবানি জমানায় বদলে ফেললেন নিজেকে! সোশ্যাল সাইটে নতুন একটি পোস্টে শফিউল্লাহ অবশ্য তাঁর ভারতীয় বন্ধুদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তিনি কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। আফগানিস্তান সরকারের একজন কর্মী মাত্র। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘বিভিন্ন দফতরে কর্মী বদল হচ্ছে। সেই সূত্রেই আমার প্রদেশের নতুন কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছি।’
২০১৮-র জুলাই থেকে ২০২০-র জুলাই পর্যন্ত শফিউল্লাহ এখানে পড়েছেন। উদ্যান পালন বিভাগের ‘ফ্রুট সায়েন্সে’র এমএসসি-র ছাত্র ছিলেন শফি – জানিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিকাশচন্দ্র সিংহ মহাপাত্র। ‘‘ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না। গত বছর লকডাউনের শেষে ও দেশে ফিরে যায়।’’ বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিদ্যা (এনটোমোলজি) বিভাগের প্রাক্তন প্রধান শান্তনু ঝা। তিনিও জানান, শফি ভারতে পড়তে আসার আগে আফগানিস্তানের কৃষি দফতরে কর্মরত ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। দেশে ফিরে যোগ দেন আশরফ গনি সরকারের কৃষি দফতরের উচ্চপদে।