Thursday, March 28, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

আশ্রমে নাবালিকাদের আটকে রেখে বছরের পর বছর ধর্ষণ, স্বঘোষিত বাবার খোঁজে লাল সতর্কতা ইন্টারপোলের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগেও দেশের মধ্যে আশ্রমের একাধিক কান্ড সামনে এসেছে। স্বঘোষিত ধর্মগুরুরা আশ্রমে নাবালিকা ও মহিলাদের ধর্ষণ করেন এমন খবর ভুরি ভুরি। এবার আরও এক স্বঘোষিত বাবার খোঁজ মিলল। সেও তার আশ্রমে নাবালিকাদের আটকে রেখে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষণ করে চলেছে বলে খবর পাওয়া গেল। এমনকি, প্রাপ্তবয়স্ক হলেই আশ্রমের নাবালিকাকে মুচলেকা দিয়ে স্বেচ্ছায় থাকার কথা ঘোষণা করতে হত। দিল্লির স্বঘোষিত ধর্মগুরু বীরেন্দ্রদেব দীক্ষিতের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ থাকলেও তাঁকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। এ বার ৭৯ বছরের সেই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে লাল সতর্কতা জারি করল ইন্টারপোল।

পুলিশের অনুমান, দেশ ছেড়ে নেপালে গা-ঢাকা দিয়েছেন বীরেন্দ্র। উত্তর দিল্লির বিজয় বিহার থানার অন্তর্গত রোহিণী এলাকায় তাঁর আশ্রম। আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে দুর্গসমান আশ্রম থেকেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে উদ্ধার করা হয়েছিল ৬৭ জনকে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নাবালিকা। কয়েক জন নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে সে বছর বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে মহিলা কমিশনের সদস্যরাও সেই অভিযানে শামিল ছিলেন।

আশ্রমে তল্লাশিতে দেখা গিয়েছে, সূর্যের আলো পৌঁছয় না এমন ছোট ছোট কুঠুরিতে গরাদ-বন্দি করে রাখা হত মেয়েদের। আধ্যাত্মিক পথ দেখানোর নামে দিনের পর দিন ধরে চলত ধর্ষণ-শারীরিক অত্যাচার। আশ্রমে থাকাকালীন নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতের অনুমতি ছিল না আবাসিক মহিলাদের।

অভিযানের পর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ না করায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে দিল্লি পুলিশ। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ২০১৯ সালের জুনে এক নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, ১৯৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশ-সহ দিল্লির রোহিণী এবং কম্পিলে নিজের আশ্রমে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বীরেন্দ্র। সেই সঙ্গে পলাতক ‘গডম্যান’ বীরেন্দ্রর খোঁজখবর দিলে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। তবে বীরেন্দ্রকে ধরা যায়নি।

বীরেন্দ্রকে পাকড়াও করতে ইন্টারপোলেরও সাহায্য নিয়েছে সিবিআই। তবে ইন্টারপোলের নীল নোটিস সত্ত্বেও অধরাই থেকেছেন তিনি। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে জারি হল লাল সতর্কতা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!